সব চেষ্টা যায় আটকা সুরে


| 🔥রক্ত দিয়ে লেখা স্যর চাই স্যর 'বিষয় বাংলা ও অঙ্ক' 🔥|


-কল্যাণ অধিকারী 


রাজেশ মরেছে, মৃত্যু হয়েছে তাপসেরও। তাতে আর কি! আন্দোলন টুকু জানতে পারলো জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য থেকে দেশ!

ওই যে ছেলেটি বুকে জড়িয়ে ধরে গলার শিরা উঁচিয়ে চিৎকার করছে। হাতে লাল রঙের কি যেন লেগে রয়েছে। না না, ওটা কেন হবে রক্ত! শরীর ছুঁয়ে যায়নি তো বুলেট নামক বস্তু টি। অ-শিক্ষিত, ঘোমটা টানা দের কথাবার্তা বলা টাই তো গুলির মত বেআক্কেলে। হিসাব চুকিয়ে নেওয়া টাই বানিয়েছেন নির্ধর্মীরা। 

থমকে গেছে নিঃশ্বাস তবুও চলছে ধ্বস্তাধস্তি। লাল রঙের কি যেন ভিজিয়ে দিচ্ছে জামা টা। কোনক্রমে কোলে বসিয়ে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা কিন্তু সেই ইচ্ছেও বিশবাঁও....। আমাগো দেশে নে হাতি জমাট বাঁধে সমষ্টির লড়াই। বিবেচ্য হয় গুণ ভাগের হিসাব, তাও নীল চোখে কাঁচালঙ্কা ঘষে। 



মেলাবেন না ওসব কার্তুজ এর লেখার ভিড়ে নীল কালির মায়ার এই লেখাকে। বিবেচ্য থাক না হোক ডেটা ম্যানুকালেট হয়ে। বাংলাভাষা চাই না বলে ঘেরাও থাকে শতাধিক দিন মেঘ পাহাড়ের দেশ দার্জিলিং। আর এক গ্রাম চায় বাংলা-অঙ্ক স্যর দের। বাকিটা গরু খোঁজা হোক না  শোকার্ত গাঁ জুড়ে। 

পাওনাদার তুলে নিয়ে গিয়েছে উপরে। শুধু পোড়া টে গন্ধটা ভেসে আসছে এক গাঁ থেকে রাজ্যের বাকি গাঁয়ে। বুক চাপড়াক কতো আন্দোলনের বেদনা আটকে মুক্তিবাহিনী। নিকেশ হওয়া নিঃশ্বাস তবুও বলে যায়, স্যর চাই স্যর 'বিষয় বাংলা ও অঙ্ক'। 

©-কল্যাণ অধিকারী 

Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য