Posts

ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের বোমাবর্ষণ

Image
ইসলামাবাদ কে কারগিল স্মরণ ও বেজিং কে স্পষ্ট ইঙ্গিত | কল্যাণ অধিকারী দেশ আবারও যুদ্ধ বিমানে আক্রমণ শানালো। পড়শি দেশে জন্মানো জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতে 'মিরাজ' যুদ্ধ বিমানের অভাবনীয় সাফল্য। আকাশলীনা সাঙ্গ করে, জঙ্গিশিবির ধংস করে ভোররাতে ফিরে আসলো আপন ডেরায় 'মিরাজ'। শুভ মঙ্গলেই অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি যুদ্ধবিমানের বোমাবর্ষণ একদিকে ইসলামাবাদ কে কারগিল স্মরণ করালো। অপরদিকে বেজিং কে দেওয়া হল স্পষ্ট ইঙ্গিত। উরি সেনা ছাউনির পর, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা। পাকিস্তানে গজিয়ে ওঠা জঙ্গি ডেরা থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গি ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়েছে। শহীদ হয়েছে বহু সেনাকর্মী। শুধুমাত্র যুক্ত থাকার প্রমাণ চেয়ে নিজেদের উপর থেকে দোষ কমাবার চেষ্টা চালিয়েছে ইসলামাবাদ। অনেক হয়েছে তথ্য প্রমাণ চালাচালি। এবার আক্রমণ তাও 'মিরাজ' কে দিয়ে। শান্তি আলোচনা, বৈঠক, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের আশ্বাস বহুবার দিয়েছে পাকিস্তান। ক'দিন পর যেই কে সেই। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনদিন অংশগ্রহণ করবে না পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী বদল হয়ে পাঠান পুত্র আসলেও পূর্বের অবস্থানে অ

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য

Image
পিকনিকের আদর্শ স্থান আমতার ফতেপুর -কল্যাণ অধিকারী আঙুলের ডগায় লম্বা সাদা সিগারেট। ধোঁয়া বের হতে হতে শেষ হবার মুখে। কাউন্টার শেয়ার করাটা যৌবনের স্বভাব। তবুও আজ ওদের এ সবে ডোন্ট কেয়ার ভাব। সকলের হাসি ঠাট্টা, দূরে ধুম ধাড়াক্কা বক্সের আওয়াজ, আর নদীর পাড়ের শীতল হাওয়া গায়ে মেখে পিকনিকের জোরদার আয়োজন ছিল ওদের তত্ত্বাবধানে।  কিছুটা দূরে মেঠো শীতে স্রোত ভোলা শান্ত দামোদর। দু'চোখ জুড়ে দেখলে মনে হবে বড্ড শাসন করেছে কেউ দুঃখের নদীটাকে। স্নানে নামলেও পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে নদীগর্ভে টেনে নেয় না। ও পারে শীতের পাদপদ্ম মেশা সবজি ভরা বিস্তীর্ণ উঁচু চর। যেন সর্বসুখের কথা শোনাচ্ছে। এমন সুন্দরী পটভূমি ছিল একটা প্রকান্ড দিনের পরিবেশ মুখি পিকনিক স্থল আমতা'র ফতেপুর।  ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস বাঙালির পিকনিকে মেতে ওঠার সময়। জেলার একাধিক স্থান আনন্দে আবডালে ভরে ওঠে। হাওড়া থেকে ৫২ কিমি দূরে আমতা স্টেশন। ওখান থেকে টোটোয় চেপে দুপাশের গ্রাম্য চিত্র ও বিস্কুট ফ্যাক্টরির ম ম করা সুরভি নাকে নিয়ে ৫কিমি পথ পাড়ি দিলেই পৌঁছে যাবেন ফতেপুর। পাশের পিচ ঢালা রাস্তা এগিয়ে দেবে নিম্ন দামোদরের পাড়ে।

উনিশের স্রোত

Image
আমার এক্সপেরিমেন্ট 'তুমি' -কল্যাণ অধিকারী  তুমি মানে একটা সকাল, বাকিটা মিঠে রোদের বিকেল। তুমি মানে একটা গোলাপ, চার হাতে ধরা প্রেম। তুমি মানে একটা চুমু, চার ঠোঁটে আটকানো।  তুমি মানে একটা তুমি, বাকিরা সব ডাহা ফেল। তুমি মানে আমার জীবন, আটকা পড়া সময়। তুমি মানে সেই মেয়েটি,  টানা চোখে কথা কওয়া। তুমি মানে স্থির বুদ্ধি, আজও রাতের বোরলীন। তুমি মানে ডিউটি অফ, পার্কে সারাদিন। তুমি মানে রসের উপন্যাস, রাত জেগে পড়ি। তুমি মানে সলিলের গান, রবিঠাকুরের প্রেমি। তুমি মানে পদ্মাবতী, কামড়ে দেওয়া আঙুল।  তুমি মানে সোজাসুজি বিশ্বাস, পূর্ণচাঁদের মতন। তুমি মানে সাইকেল চালানো, সুড়সুড়ি দেওয়া প্লট। তুমি মানে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। তুমি মানে আমার বনলতা,  কলমে টানা প্রেম। তুমি মানে আমার জন্মদিনের রাতে, প্রথম উইশ করা বসন্তবৌরী। তুমি মানে আমার ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ও থার্ড।  তুমি মানে পুরনো ক্যালেন্ডার , নতুন তারিখে ভরা। তুমি মানে ড্রয়িংরুমে রাখা, এক থোকা রজনীগন্ধা। তুমি মানে দারুণ বোঝাপড়া, গোলাপ আর চন্দ্র

নতুন সকালের সূচনা

Image
মেলবোর্ন টেস্ট ১৩৭ রানে জিতে,   সিরিজ জয়ের দোরগোড়ায় কোহলি ব্রিগেড কল্যাণ অধিকারী,  বছরের শেষ রবিবার সকালটা ক্রিকেটময়। চতুর্থ দিনের পোক্ত লড়াই পঞ্চম দিনের লাঞ্চের আগে সাফল্য এনে দিল। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে দূরন্ত জয় টিম কোহালির।  ক্রিকেট নিয়ে কিছু লিখতে গেলে ডন বার্ডম্যান, ভিভিয়ানস রিচার্ড সহ একাধিক নাম চলে আসে। বেশ কয়েক দশক আগের কৃতিত্ব কেড়ে নেয় বর্তমান সময়ের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। কঠিন পরস্থিতির সম্মুখীন না হয়ে উল্টে বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার মতো টিমের বুকে চেপে বসে টেস্ট ম্যাচ জেতা কম কৃতিত্বের।  দেশ স্বাধীন হবার পরে বহুবার অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে টিম ভারত। সাফল্য এসেছে অবশ্যই। তবে এমন তারুণ্যের জোশ দেখা দিয়েছে কি! মাংকি ম্যানদের কটুক্তি, উইকেটের পিছন থেকে ক্যাপ্টেন পেনের বিদ্রুপ, স্টেডিয়াম থেকে বর্ণবৈষম্যের মতো বিষয় নিয়ে খোঁচা, কোহলির প্রতি অশালীন আক্রমণ। এতকিছু পরে ১৩৭ রানে জিতে ২-১ সিরিজ এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই কোহলি ব্রিগেডের কৃতিত্ব। সিডনিতে নামবার আগে ভারতীয় শিবির অনেকটা ফুরফুরে। অস্ট্রেলিয়া এবার কি ধরনের পিচ তৈরি করবে সেটাই দেখার। সবুজ উইকেট করবা

ফেলব যখন একস্ট্রা কড়ি দেখব কেন বিজ্ঞাপন !

Image
| পছন্দের চ্যানেল 👁 মুঠোয় রাখুন জিএসটি তবে বিজ্ঞাপন মানবো না | -কল্যাণ অধিকারী  বাঁশের মাথায় লাগানো এন্টেনা ঘোরালে ডিডি বাংলা স্পষ্ট দেখা যেত। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশি চ্যানেল ঠিকানা ভুলে চলে আসতো। মা বলতো এবার ছবি ঠিক আছে। শুক্র ও শনিবার হিন্দি সিনেমা। রবিবার বিকেল চারটেয় বাংলা ছায়াছবি। স্ক্রিনের কোনে লেখা থাকতো সাদা কালো। ওইটুকু সন্তুষ্টি দিত। মোদ্দা কথা এটাই ছিল বাঙালির টিভি দেখার হাতেখড়ি।  সময়ের পরিবর্তনে ডিজিটাল ও হাই ডেফিনিশন শব্দ প্রবেশ করেছে টিভি নামক বস্তুতে। যদি ভাবেন একে দেখবেন না ওর তাহলে গোঁসা। এককথায় চ্যানেলে-চ্যানেলে ঝগড়া। রিমোট ব্যবহার ও সেটিংস এর মধ্য দিয়ে মনোরঞ্জন হাতের তালুতে। তবে! নিউজ ও খেলার চ্যানেল ব্যাতিত বাকিগুলোর শব্দ প্রতিটি বাড়িতে ঝলমলে আওয়াজ তোলে। দোরগোড়ায় উনিশ। নতুনের হাতছানি। সবকিছুর ভোল বদল। বাকি থাকবে না কেবল নামক শব্দও। চ্যানেল বেছে নিয়ে দেখার দিন এসে গেছে। নামিদামি চ্যানেল দেখতে একস্ট্রা টাকার সঙ্গে যুক্ত হবে শুধুমাত্র জিএসটি। এতে ই একটু গোঁসা। জিএসটি ভরে চ্যানেল দেখব বিজ্ঞাপন থাকবে কেন? রানি রাসমণি বলুন বা অন্যান্য সিরিয়াল বিরক্তিকর

সেদিনের সে কথা

Image
টিউলিপের সুগন্ধ -কল্যাণ অধিকারী  লিখছি তোমায় ভালোবাসার কবিতা, প্রতিটি অক্ষরে গোলাপের পাঁপড়ি, রজনীর সুরভি ও টিউলিপের প্রেমে ভরা। হলুদাভ কমলালেবু তাও দিতাম এঁকে, হয়তো এটার অংশীদার হ্যাঁ শুধু তুমি। সে রাতে হিম ছড়ানো জ্যোস্নায় ঠায় তাকিয়ে ছিলাম দক্ষিণে ওই গন্ধরাজ গাছটার পানে। পাতা ঝাপটা সুগন্ধ বিলিয়ে জানাচ্ছিল আহ্বান। মনে পড়ে সেদিনের শেভ করা সেই নরম গাল, মোটা ভ্রুর নিচে কালো দু'খান চোখ, আটকে থাকা ডিওড্রেন্ট এর গন্ধ। পরিচিত আইডিয়া নম্বরের মতোই তুমি বিশ্বাসী,  শীতবস্ত্রের ন্যায় মোলায়েম। আগুন-জ্বলা প্রেমিকা হয়ে থেকে গেছি রাগ-অনুরাগে ভরা নয়ন নিয়ে। রোমিও-জুলিয়েট আখ্যানে ভরা দেশে, কটা দিনের প্রেমালাপ হয়ে থেকে যাওয়া শীতল কুয়াশা মাখা শহরে। ©-কল্যাণ অধিকারী

এক গ্রাম্য পটচিত্র।।।

Image
সময় যেখানে হাত ধরে ডাক দেয়  -কল্যাণ অধিকারী ওই যে বড় গাছটার মাথা দেখা যাচ্ছে ওখানেই কুঁড়েঘর। ঘরের এককোনে ইষ্ট দেবতাকে সঙ্গে নিয়ে বাস করে মায়া। একগন্ডা ছাগল, কিছু বালিহাঁস, একজোড়া গরু, কাটা ছটাক জমি নিয়ে সংসার। হ্যাঁ আর আছে হার চিরচিরে মিনসে। কয়েকক্রোশ দূরে মোড়লের জমিতে দিনের শ্রমটুকু দিয়ে ঘরে ফেরে। মায়ার কাজ সকালে গামছায় মুড়ি, পিঁয়াজ, গাছের লঙ্কা বেঁধে দেওয়া। বাকি সময় ঘরের সদস্যদের জমিতে চড়িয়ে আনা। ইঁদুরের দল গাঁয়ের মোড়লের জমির ধানের শিষ কেটে গর্ত করে মাটির ভিতর নিয়ে যায়। হয়ত মায়ার জন্য। কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে জমির ধান বের করে আনে মায়া। সূর্য মাথার উপর উঠলে ঘরে ফেরা। ভাত ফোটাতে হবে। মিনসে কাজ করে ফিরে মুখে তুলবে। রোদে থেকে পিঠ পুড়িয়েছে তবুও বাবুর একবিন্দু বিশ্বাস ভাঙেনি। কিজানি বেলা যে কত হল! কুয়াশা কেন যে ওঠে বেলা অবধি সূর্য দেখতে পাইনি। মিনসেটা কখন যে চলে আসে। ছাগল নিয়ে ঘরমুখো মায়া। নিতাইদের মেয়েটার আজ বিয়ে। ওরা বিয়ে বাড়ির অবশিষ্ট খাবার গুলো নিয়ে আসতে বলেছে। কতদিন পরে একটু মাছের টুকরো মুখে তুলব। সেবার দু-গন্ডা মাছের চাকা দিয়েছিল। তার উপর এই সাইজের সরু চালের