Posts

Showing posts from December, 2018

নতুন সকালের সূচনা

Image
মেলবোর্ন টেস্ট ১৩৭ রানে জিতে,   সিরিজ জয়ের দোরগোড়ায় কোহলি ব্রিগেড কল্যাণ অধিকারী,  বছরের শেষ রবিবার সকালটা ক্রিকেটময়। চতুর্থ দিনের পোক্ত লড়াই পঞ্চম দিনের লাঞ্চের আগে সাফল্য এনে দিল। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে দূরন্ত জয় টিম কোহালির।  ক্রিকেট নিয়ে কিছু লিখতে গেলে ডন বার্ডম্যান, ভিভিয়ানস রিচার্ড সহ একাধিক নাম চলে আসে। বেশ কয়েক দশক আগের কৃতিত্ব কেড়ে নেয় বর্তমান সময়ের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। কঠিন পরস্থিতির সম্মুখীন না হয়ে উল্টে বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার মতো টিমের বুকে চেপে বসে টেস্ট ম্যাচ জেতা কম কৃতিত্বের।  দেশ স্বাধীন হবার পরে বহুবার অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে টিম ভারত। সাফল্য এসেছে অবশ্যই। তবে এমন তারুণ্যের জোশ দেখা দিয়েছে কি! মাংকি ম্যানদের কটুক্তি, উইকেটের পিছন থেকে ক্যাপ্টেন পেনের বিদ্রুপ, স্টেডিয়াম থেকে বর্ণবৈষম্যের মতো বিষয় নিয়ে খোঁচা, কোহলির প্রতি অশালীন আক্রমণ। এতকিছু পরে ১৩৭ রানে জিতে ২-১ সিরিজ এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই কোহলি ব্রিগেডের কৃতিত্ব। সিডনিতে নামবার আগে ভারতীয় শিবির অনেকটা ফুরফুরে। অস্ট্রেলিয়া এবার কি ধরনের পিচ তৈরি করবে সেটাই দেখার। সবুজ উইকেট করবা

ফেলব যখন একস্ট্রা কড়ি দেখব কেন বিজ্ঞাপন !

Image
| পছন্দের চ্যানেল 👁 মুঠোয় রাখুন জিএসটি তবে বিজ্ঞাপন মানবো না | -কল্যাণ অধিকারী  বাঁশের মাথায় লাগানো এন্টেনা ঘোরালে ডিডি বাংলা স্পষ্ট দেখা যেত। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশি চ্যানেল ঠিকানা ভুলে চলে আসতো। মা বলতো এবার ছবি ঠিক আছে। শুক্র ও শনিবার হিন্দি সিনেমা। রবিবার বিকেল চারটেয় বাংলা ছায়াছবি। স্ক্রিনের কোনে লেখা থাকতো সাদা কালো। ওইটুকু সন্তুষ্টি দিত। মোদ্দা কথা এটাই ছিল বাঙালির টিভি দেখার হাতেখড়ি।  সময়ের পরিবর্তনে ডিজিটাল ও হাই ডেফিনিশন শব্দ প্রবেশ করেছে টিভি নামক বস্তুতে। যদি ভাবেন একে দেখবেন না ওর তাহলে গোঁসা। এককথায় চ্যানেলে-চ্যানেলে ঝগড়া। রিমোট ব্যবহার ও সেটিংস এর মধ্য দিয়ে মনোরঞ্জন হাতের তালুতে। তবে! নিউজ ও খেলার চ্যানেল ব্যাতিত বাকিগুলোর শব্দ প্রতিটি বাড়িতে ঝলমলে আওয়াজ তোলে। দোরগোড়ায় উনিশ। নতুনের হাতছানি। সবকিছুর ভোল বদল। বাকি থাকবে না কেবল নামক শব্দও। চ্যানেল বেছে নিয়ে দেখার দিন এসে গেছে। নামিদামি চ্যানেল দেখতে একস্ট্রা টাকার সঙ্গে যুক্ত হবে শুধুমাত্র জিএসটি। এতে ই একটু গোঁসা। জিএসটি ভরে চ্যানেল দেখব বিজ্ঞাপন থাকবে কেন? রানি রাসমণি বলুন বা অন্যান্য সিরিয়াল বিরক্তিকর

সেদিনের সে কথা

Image
টিউলিপের সুগন্ধ -কল্যাণ অধিকারী  লিখছি তোমায় ভালোবাসার কবিতা, প্রতিটি অক্ষরে গোলাপের পাঁপড়ি, রজনীর সুরভি ও টিউলিপের প্রেমে ভরা। হলুদাভ কমলালেবু তাও দিতাম এঁকে, হয়তো এটার অংশীদার হ্যাঁ শুধু তুমি। সে রাতে হিম ছড়ানো জ্যোস্নায় ঠায় তাকিয়ে ছিলাম দক্ষিণে ওই গন্ধরাজ গাছটার পানে। পাতা ঝাপটা সুগন্ধ বিলিয়ে জানাচ্ছিল আহ্বান। মনে পড়ে সেদিনের শেভ করা সেই নরম গাল, মোটা ভ্রুর নিচে কালো দু'খান চোখ, আটকে থাকা ডিওড্রেন্ট এর গন্ধ। পরিচিত আইডিয়া নম্বরের মতোই তুমি বিশ্বাসী,  শীতবস্ত্রের ন্যায় মোলায়েম। আগুন-জ্বলা প্রেমিকা হয়ে থেকে গেছি রাগ-অনুরাগে ভরা নয়ন নিয়ে। রোমিও-জুলিয়েট আখ্যানে ভরা দেশে, কটা দিনের প্রেমালাপ হয়ে থেকে যাওয়া শীতল কুয়াশা মাখা শহরে। ©-কল্যাণ অধিকারী

এক গ্রাম্য পটচিত্র।।।

Image
সময় যেখানে হাত ধরে ডাক দেয়  -কল্যাণ অধিকারী ওই যে বড় গাছটার মাথা দেখা যাচ্ছে ওখানেই কুঁড়েঘর। ঘরের এককোনে ইষ্ট দেবতাকে সঙ্গে নিয়ে বাস করে মায়া। একগন্ডা ছাগল, কিছু বালিহাঁস, একজোড়া গরু, কাটা ছটাক জমি নিয়ে সংসার। হ্যাঁ আর আছে হার চিরচিরে মিনসে। কয়েকক্রোশ দূরে মোড়লের জমিতে দিনের শ্রমটুকু দিয়ে ঘরে ফেরে। মায়ার কাজ সকালে গামছায় মুড়ি, পিঁয়াজ, গাছের লঙ্কা বেঁধে দেওয়া। বাকি সময় ঘরের সদস্যদের জমিতে চড়িয়ে আনা। ইঁদুরের দল গাঁয়ের মোড়লের জমির ধানের শিষ কেটে গর্ত করে মাটির ভিতর নিয়ে যায়। হয়ত মায়ার জন্য। কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে জমির ধান বের করে আনে মায়া। সূর্য মাথার উপর উঠলে ঘরে ফেরা। ভাত ফোটাতে হবে। মিনসে কাজ করে ফিরে মুখে তুলবে। রোদে থেকে পিঠ পুড়িয়েছে তবুও বাবুর একবিন্দু বিশ্বাস ভাঙেনি। কিজানি বেলা যে কত হল! কুয়াশা কেন যে ওঠে বেলা অবধি সূর্য দেখতে পাইনি। মিনসেটা কখন যে চলে আসে। ছাগল নিয়ে ঘরমুখো মায়া। নিতাইদের মেয়েটার আজ বিয়ে। ওরা বিয়ে বাড়ির অবশিষ্ট খাবার গুলো নিয়ে আসতে বলেছে। কতদিন পরে একটু মাছের টুকরো মুখে তুলব। সেবার দু-গন্ডা মাছের চাকা দিয়েছিল। তার উপর এই সাইজের সরু চালের

মন্দিরের আকুলতা

Image
আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা তবুও অযোধ্যায় ফিরল না বসন্ত ! -কল্যাণ অধিকারী ছাব্বিশটা বসন্ত অন্ধকার সময়ে পার করেছে অযোধ্যা। রুপমুগ্ধতার সরযু নদীর তীর, হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী, ছেড়ে বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির আলোচ্য বিষয়। এই নিয়েই পঁচিশটা বছর পার করে চাপা অস্বস্তি ছেয়ে রয়েছে গোটা অযোধ্যা জুড়ে। ক'টা দিন পর নতুন বছর। ভোটের দামামা বাজবে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী জুড়ে। এর মাঝে গলা খাকারি দিয়ে উঠেছে মন্দির নির্মাণ। এ যেন ভাবার আগেই "ওরম মনে হয়" নিয়ে টিনএজ-এর চরম ব্যস্ততার মতো। মন্দির নির্মাণের জন্য বহুবার যজ্ঞ হয়েছে দেশজুড়ে। যজ্ঞের পোড়া কাঠ ঠান্ডাও হয়েছে নিয়মানুসারে। কিন্তু শুধু যজ্ঞের কালি তুলে কপালে টিকা পড়লে যে কাজ হবে না বুঝে গিয়েছে দেশবাসী। মন্দির চাই মন্দির! ধীরে ধীরে জাগ্রত হচ্ছে রাজনৈতিক আন্দোলন। ঢেউ উঠছে সরযূ নদীতে। গেরুয়া বসনার মুখ্যমন্ত্রী যোগী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। অযোধ্যা জুড়ে ধর্মের খোসা ছাড়ানো আন্দোলন। ছাব্বিশ বছর ধরে ধর্মপ্রাণ অযোধ্যাবাসীর মতো দেশবাসী মিথ্যে লম্প ঝম্প বোধহয় চাইছে না। সেটা আমাদের দেশের বড় দলের নেতারাও বুঝেছেন। মন্দির স্বপ্নকে বা

এভাবেই নতুন দের সুযোগ করে দিতে হয়

Image
|বাইশ গজ পূরণের প্রতিশ্রুতি| -কল্যাণ অধিকারী ২০০৮-এর অক্টোবর মাস কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন দেশের দাদা। নিজের মধ্যে অনেকটা ছিল তবুও অবসর নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্রিকেটের দেওয়াল দ্রাবিড় বাইশ গজ কে টা টা জানিয়ে দেন৷ ২০১২ সালে নিখুঁত টাইমিংয়ে গণ্ডগোল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তারপর ২০১৩ সাল। ক্রিকেটের ভগবান সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। এবার ১৯-এর দোরগোড়ায় ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গৌতম গম্ভীর। বাইশ গজ বরাবর চোখ রাঙায়। নীল ক্যাপ পড়ে টিমে ঢোকা বা বাদ পড়া এখানে সাইলেন্ট কিলার। গ্রেগ চ্যাপেল জমানায় সৌরভ, ক্যাপ্টেন ধোনি'র সময় শচীন! তবে মানতেই হয় ভারতীয় ক্রিকেটের খোলস পাল্টায় সেই দাদা'র সময় থেকে। সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। আবার দাদা যেটা পারেন নি সেটাই করেছে ধোনি। দেশকে দুই ফর্মাটে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। তবুও মনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সেদিন। একটায় ৭৫, অপরটিতে চোখ ধাঁধানো ৯৭। হ্যাঁ তিনি গম্ভীর। সেই তারুণ্য, আগ্রাসী, বিপক্ষের প্রতি চোখে চোখ রেখে কথা বলা গৌতি। ক্রিকেট থেকে সরে যেতে গিয়ে মঙ্গলব

দেশবাসি চা খাবে তো! নাকি বাদাম ভাজা মুড়ি !

Image
দেশটা আমার, দোষ টা নয়! -কল্যাণ অধিকারী যে দেশে, প্রেম-বন্ধন-রাগ-অনুরাগ, রবিঠাকুর-স্বামীজি-সুভাষ চন্দ্র-গিরিশ ঘোষ  মিলিত সূত্র। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। এখন কিন্তু কেবলমাত্র টইটুম্বুর রাজনৈতিক ভূমি! নচিকেতা রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর পাল্টালে ভারত বনধ ডেকে দেওয়া কেবল বাকি থাকে। যে হান্নান মোল্লা নিজের কেন্দ্রে দেখা দিতেন না। তিনি এখন সারাদেশের কৃষক নেতা। স্ট্রং রুম এর সিসিটিভি ক্যামেরা চলে নি ঘন্টাখানেক! একটা ক্যামেরা বিশ্ব খ্যাতিমান স্ট্যাচুর মাথায় লাগালেই স্ট্রং রুম অবধি পৌঁছে যেত। কারেন্ট না থাকলেও ভিডিও রেকর্ড হতো। মিডিয়াতে এখন বিশেষজ্ঞ দের চিৎকার শোনা যায় বেশি। ব্রেকআপ শব্দটি চাপা ফেলে ময়দানের ট্রামের আওয়াজকে। মদন দা এখন গ্লাসে জল ভরে খান। সোনার আয়নায় ভালবাসার সুপাত্র শোভন। চোখের সামনে অজস্র অন্যায় তবুও ওরা বাঘ, নাম সিভিক। পাড়ার ঠেকে চুল্লু খেয়ে মরদ মরলে সিঁদুর পড়া স্ত্রী ভাঙে শাঁখা। বাঘা যতীনের মোড়ের মাথার চায়ের ঠেকে দু লাখ দেওয়া নিয়ে আলোচনা হাতাহাতি পর্যায়। দফতরের সামনে ইনকিলাব বলায় পৌঁছাতে হয় দার্জিলিং। সোনাগাছির পথের ধারে মেয়েদের লম্বা লাইন অথচ ক

অচেনা অতিথি

Image
বন্ধুত্ব এমনও হয়।  -কল্যাণ অধিকারী  কোনদিন দেখা হয়নি। পরিচয় বলতে ফেসবুকে থেকে যাওয়া বন্ধুত্বের তালিকায়। ইনবক্সে কথাও হয়নি। তবুও আজ ডোমজুড়ে নিউজে গিয়েছিলাম দেখতে পেয়ে চিনতে ভুল করেননি সাংবাদিক বিপাশা। তুমি কল্যাণ তো? মানে কল্যাণ অধিকারী? হ্যাঁ বলতেই প্রশস্তির হাসি। কুশল বিনিময়। এটাই তো দিয়েছে ফেসবুকস্রষ্টা মার্ক জুকারবার্গ। আমরা সবাই এখানে একি পরিবারের। কোথাও একটা মিল রয়েছে। সেটা আতিথ্য। বলতেই পারেন কবি হয়তো এ কারণে ই লিখেছেন 'গগন নহিলে তোমারে ধরিবে কেবা’। কোনও রৈ রৈ কাণ্ড নয়। এটা ফেসবুকের মুগ্ধতা, আন্তরিকতা। ফ েসবুকের যাত্রাপথে এ ভাবেই পাশে থেকে যাবে স্মরণচিহ্ন হয়ে কিছু স্মৃতি। বাকিটা হালকা শীতের রাতে জ্যোৎস্না উধাও, তবুও লোমশ ঢাকা শিশিরকণা বলে দেয় রাতের দু প্রহর শুরু। ©-কল্যাণ অধিকারী

হাতে যদি থাকতো ছোরা

Image
তোর ক্ষুদি কি পড়তো ধরা মাগো জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য -কল্যাণ অধিকারী ইংরেজের ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে মৃত্যু'কে বরণ করে নিয়েছিল এক অষ্টাদশী। সেই সর্বকনিষ্ঠ বীর শহিদ ক্ষুদিরাম বসু'কে স্মরণ করে না এই ভূভারতে বিরল দৃশ্য। স্বাধীনতার এত বছর পরে ভারত হারিয়েছে বহু দেশপ্রেমিক সন্তান কে। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। তবুও সেদিনের সেই অষ্টাদশী দেশপ্রেমিক ক্ষুদিরাম কে তো আমরা পেলাম না ফিরে। সেই দৃঢ়তা, মাথা উঁচু করে সততার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া, নিষ্ঠা ও সাহসিকতায় অষ্টাদশী ছাপ এক শৈশব কে!   তাহলে সেই বিখ্যাত গানে কেন বলা হল! "দশ মাস দশদিন পরে জন্ম নেব মাসীর ঘরে, মাগো, তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি।" আজ তোমার জন্মদিন। ত্রৈলকানাথ বসুর সেই দুরন্ত ছেলেটার। যে দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনবার লড়াইয়ে বিপ্লবী দলে নাম লিখিয়েছিল। রাতের গাড়ো অন্ধকার নেমে আসবার আগেই নিঃশব্দে নিক্ষেপ করেছিল বোমা। পরবর্তী সময় ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ থেমে গিয়েছিল ক্ষুদিরাম বসু'র ফাঁসির সাজায়। প্রার্থনা করি আবার জন্ম নাও কোনও ভারত মায়ের গর্ভ আলোকিত করে। কলের বোমা তৈরি করতে নয়।

চতুর্থ পর্ব

Image
|সাঁওতালি পিঠে প্রেমের পরশ টানে শশাঙ্ক| -কল্যাণ অধিকারী ঘড়িতে তখন দু'টো। উল্টোডাঙ্গা মোড় বেশ কিছুটা ফাঁকা। হনহন করে এগিয়ে চলেছে প্রীয়া। অটো ধরে প্রথমে কেষ্টপুর। ওখানে ডকুমেন্ট দিয়ে ফিরে আসতে হবে দমদম। কাজ মিটিয়ে আবার অফিস।ঠাসা সিডিউল। অটো'র পিছনের তিনজনের সিটে দু'জন মানুষ দেখে বাকি জায়গায় বসে যায়৷ পাশের ভদ্রলোক বার কয়েক মুখপানে তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। শহুরে স্মার্ট মেয়েদের মতো ছোঁয়া নেই বলে হয়তো! পকেট থেকে মোবাইল বের করবার প্রচেষ্টায় আসানসোলের শ্যামাঙ্গিনীর কোমরে হাত ঘষতে তো অসুবিধা নেই! ওই কাজটায় বেশ পটুত্ব বোঝা গেল। আঙুলের নোখ পরিমাপ করে কাটা হলেও চেষ্টা করলে আঁচড়ে দিতে পারবে প্রীয়া। বোধহয় বুঝতে পেরে হাতকে সামলে নিয়েছেন। শ্রীভূমি পার করে কেষ্টপুর পৌঁছে যায় অটো। ভাড়া মিটিয়ে ডাকাবুকা পাড়া ধরে এগিয়ে চলেছে। একতলার ফ্ল্যাটে ডকুমেন্ট দিয়ে ফিরবার বাস। হন্তদন্ত হয়ে চলায় হালকা শীতের মধ্যেও ভিজেছে বগল। অভ্যস্ত না হলেও সেবার কলেজ থেকে সমক্লাসের ছেলে মেয়েরা মিলে গিরিডি গিয়েছিল। প্রাণান্তকর ধূলোর আস্তরণ পার করে জঙ্গল ঘিরে থাকা নদীতে পাথরের অনুসন্ধান চালানো হয়।

হাতে যদি থাকতো ছোরা

Image
তোর ক্ষুদি কি পড়তো ধরা মাগো জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য -কল্যাণ অধিকারী ইংরেজের ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে মৃত্যু'কে বরণ করে নিয়েছিল এক অষ্টাদশী। সেই সর্বকনিষ্ঠ বীর শহিদ ক্ষুদিরাম বসু'কে স্মরণ করে না এই ভূভারতে বিরল দৃশ্য। স্বাধীনতার এত বছর পরে ভারত হারিয়েছে বহু দেশপ্রেমিক সন্তান কে। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। তবুও সেদিনের সেই অষ্টাদশী দেশপ্রেমিক ক্ষুদিরাম কে তো আমরা পেলাম না ফিরে। সেই দৃঢ়তা, মাথা উঁচু করে সততার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া, নিষ্ঠা ও সাহসিকতায় অষ্টাদশী ছাপ এক শৈশব কে! তাহলে সেই বিখ্যাত গানে কেন বলা হল! "দশ মাস দশদিন পরে জন্ম নেব মাসীর ঘরে, মাগো, তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি।" আজ তোমার জন্মদিন। ত্রৈলকানাথ বসুর সেই দুরন্ত ছেলেটার। যে দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনবার লড়াইয়ে বিপ্লবী দলে নাম লিখিয়েছিল। রাতের গাড়ো অন্ধকার নেমে আসবার আগেই নিঃশব্দে নিক্ষেপ করেছিল বোমা। পরবর্তী সময় ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ থেমে গিয়েছিল ক্ষুদিরাম বসু'র ফাঁসির সাজায়। প্রার্থনা করি আবার জন্ম নাও কোনও ভারত মায়ের গর্ভ আলোকিত করে। কলের বোমা তৈরি করতে নয়। দেশের ছাত্র সমাজ ও যুব সম্প্রদায়কে &

হাতে যদি থাকতো ছোরা

Image
তোর ক্ষুদি কি পড়তো ধরা মাগো জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য -কল্যাণ অধিকারী ইংরেজের ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে মৃত্যু'কে বরণ করে নিয়েছিল এক অষ্টাদশী। সেই সর্বকনিষ্ঠ বীর শহিদ ক্ষুদিরাম বসু'কে স্মরণ করে না এই ভূভারতে বিরল দৃশ্য। স্বাধীনতার এত বছর পরে ভারত হারিয়েছে বহু দেশপ্রেমিক সন্তান কে। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। তবুও সেদিনের সেই অষ্টাদশী দেশপ্রেমিক ক্ষুদিরাম কে তো আমরা পেলাম না ফিরে। সেই দৃঢ়তা, মাথা উঁচু করে সততার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া, নিষ্ঠা ও সাহসিকতায় অষ্টাদশী ছাপ এক শৈশব কে!   তাহলে সেই বিখ্যাত গানে কেন বলা হল! "দশ মাস দশদিন পরে জন্ম নেব মাসীর ঘরে, মাগো, তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি।" আজ তোমার জন্মদিন। ত্রৈলকানাথ বসুর সেই দুরন্ত ছেলেটার। যে দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনবার লড়াইয়ে বিপ্লবী দলে নাম লিখিয়েছিল। রাতের গাড়ো অন্ধকার নেমে আসবার আগেই নিঃশব্দে নিক্ষেপ করেছিল বোমা। পরবর্তী সময় ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ থেমে গিয়েছিল ক্ষুদিরাম বসু'র ফাঁসির সাজায়। প্রার্থনা করি আবার জন্ম নাও কোনও ভারত মায়ের গর্ভ আলোকিত করে। কলের বোমা তৈরি করতে নয়। দেশ

অচেনা অতিথি

Image
কোনদিন দেখা হয়নি। পরিচয় বলতে ফেসবুকে থেকে যাওয়া বন্ধুত্বের তালিকায়। ইনবক্সে কথাও হয়নি। তবুও আজ ডোমজুড়ে নিউজে গিয়েছিলাম দেখতে পেয়ে চিনতে ভুল করেননি সাংবাদিক বিপাশা। তুমি কল্যাণ তো? মানে কল্যাণ অধিকারী? হ্যাঁ বলতেই প্রশস্তির হাসি। কুশল বিনিময়। এটাই তো দিয়েছে ফেসবুকস্রষ্টা মার্ক জুকারবার্গ। আমরা সবাই এখানে একি পরিবারের। কোথাও একটা মিল রয়েছে। সেটা আতিথ্য। বলতেই পারেন কবি হয়তো এ কারণে ই লিখেছেন 'গগন নহিলে তোমারে ধরিবে কেবা’। কোনও রৈ রৈ কাণ্ড নয়। এটা ফেসবুকের মুগ্ধতা, আন্তরিকতা। ফ েসবুকের যাত্রাপথে এ ভাবেই পাশে থেকে যাবে স্মরণচিহ্ন হয়ে কিছু স্মৃতি। বাকিটা হালকা শীতের রাতে জ্যোৎস্না উধাও, তবুও লোমশ ঢাকা শিশিরকণা বলে দেয় রাতের দু প্রহর শুরু। ©-কল্যাণ অধিকারী

বিতর্ক সেই শব্দে 'ইয়ার দিলদার ইমরান'

Image
| সিধু জি,  আজ আপনাকে নিয়ে  🖋  ধরলাম | -কল্যাণ অধিকারী  আপনি নিশ্চয়ই জানেন, সাদা বরফ, নীলাভ জলরাশি ও শস্য-শ্যামলায় ভরা আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। উত্তরে হিমালয়ের বরফ স্পর্শ করা কাশ্মীর, ম্যাপের নিচে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত কন্যাকুমারী। দক্ষিণে খোলা আকাশে মন্দিরের অলিন্দ। তবে পশ্চিমে এমন একটি পড়শি দেশ রয়েছে যাকে নিয়ে একটু বলতে ও লিখতে কলম খসখস করে।  আপনি ভারতের একসময়কার ক্রিকেটার নবজ্যোত সিং সিধু। অবসর নিয়েছেন বহুকাল। হাসির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দ্য কপিল শর্মা শো করে লোক নজরে পুনরায় চলে আসেন। শো তে শায়রী বলে ইমপ্রেসড করতে জানেন। যদিও শোটি অন্তকলহে ঝাঁপ ফেলেছে। এখন আবার পাঞ্জাব সরকারের আপনি মন্ত্রী। আপনার স্ত্রীও পাঞ্জাব বিধানসভার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের পুরনো প্রীতি জেগে ওঠা কতটা ভালো পূর্বেকার স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল। ওরা মুখে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালাবার কথা আর জঙ্গিগোষ্ঠীদের মর্টার ছুড়তে বলে। শহীদ হয় ভারত মায়ের সন্তান। করতারপুর করিডর এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা দুটো ভিন্ন বিষয়। প্রায় নিয়ম করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে সীমান্তে পরিস্থিতি অস্থির করছে। মৃত্যু হচ্ছে ন

চোখ দুটো টানাটানা ঠোঁট দুটো লাল

Image
অগনিত ভক্তদের মাঝে আমিও থেকে গেলাম সাতাশমহলে -কল্যাণ অধিকারী মিশরের নীলনদ কে আকাশে মিলিয়ে পৃথিবী হারিয়ে গেল মরু সাহারায়। বাংলা-হিন্দি ছায়াছবি হোক বা কাওয়ালী যে কোনো ধরনের গানে অদ্বিতীয় মহম্মদ আজিজ জমানার আজ রচিত হল ইতিহাস। আলোর তারিখ মেপে ৬৪ বসন্ত পার করে হারিয়ে গেলেন 'আয়ে ওযাতেন তেরে লিয়ে'। ভক্তের মোবাইলের ভান্ডারে রাখা রিংটোনটা এবার তুলে ধরবে পূর্বের স্মৃতি। ১৯ এর দোরগোড়া ছেরে চলে যাওয়া সুরেলা কণ্ঠের আজিজ হাজার হাজার কক্ষ পথ ঘুরে ফিরে আসবেন। 'চোখ দুটো টানাটানা ঠোঁট দুটো লাল' গান ধরে। ছোটবেলায় একটা গান শুনেছিলাম 'জীবনে চলার পথে যত করি ভুল, ভুলটাকে ভুল করে ভাবি রাঙা ফুল'। আজকের শীতের রাতেও মানেটা খুঁজে বেড়াই। আপনার গানের অগনিত ভক্তদের মাঝে আমিও থেকে গেলাম সাতাশমহলে। খুশীর প্রাসাদ গড়ি মাঝ দরিয়ায়, আকাশ রাঙাতে চাই প্রদীপ শিখায়। ©-কল্যাণ অধিকারী