Posts

Showing posts from October, 2018

লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করতেই কি

Image
বুলেট ট্রেন শিলান্যাস ও সর্দার সরোবর বাঁধ নির্মাণের পর এবার স্ট্যাচু অব ইউনিটি ? উঠছে প্রশ্ন কল্যাণ অধিকারী ভারতবর্ষের সংস্কৃতির উচ্চতার শিখরে নব পালক যুক্ত করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শৌর্য ও উজ্জ্বলতা, নান্দনিকতা সঙ্গে দৃশ্য কল্পতায় ভারতের ইতিহাস কে আবারও শ্রেষ্ঠতায় বসালেন। সৌজন্যে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের বিদ্যত মূর্তি। সময় টা ইদানিং বিলম্বের পরিচয় রাখছে। প্রতিটি দিন শেষ হচ্ছে একাধিক বিতর্ক রেখে। পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণের পরিধি ক্রমাগত বাড়াচ্ছে বিরোধী শিবির। ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চুক্তি রাফেল নিয়েও সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন চালানো নিয়ে কৃষক আন্দোলন জমাট বাঁধছে। তবুও লক্ষ্যে পৌঁছাতে তিনি অবিচল। ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি বিছিয়ে বিরোধীদের সমস্ত যুক্তি কে পরাস্তপরতার প্রচেষ্টা করে চলেছেন। কয়েক ঘন্টা আগে উচ্চতার সার্বিক লক্ষ্য ছুঁয়েছে মেক ইন ইন্ডিয়ার বুলি আওড়ে চলা দেশের প্রধানমন্ত্রী। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল কে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনের আগে শিখরে চড়তে চাইলেন

এক মেঠো গ্রামের গল্প,,,

Image
| 🌴 গ্রামের 'বটতলা' খেলে বেড়ায় শৈশব 🌱 | -কল্যাণ অধিকারী একটা দিগন্ত টানা মস্ত মাঠ। মাঝে লম্বা আকাশ প্রমাণ তাল, খেজুরের সারি। পাতায় দিব্যি সুখে বাবুই এর দল। দূরে লাল মাটির রাস্তা দিয়ে কালো মোষ গাড়ি টেনে চলেছে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া জল সমস্ত কষ্ট বোঝাতে চাইছে। মাঠে এবার ধান যে জবরদস্ত হয়েছে বলা যাবে না। বৃষ্টি নেই, সেচের জল তাও অনিশ্চয়তায় ভরা। তবুও চাষ করে ওরা আনন্দে। গায়ে তেল মেখে পুকুরে ডুব দেয়। যদিও তার আগে থেকেই পাড়ার ছেলের দল ডুব সাঁতার দিয়ে জল গুলিয়ে দিয়েছে। স্কুলে যাবার তাড়া নেই। ইন্টারনেট বোঝে না। শুধু জানে প্যাক মারতে হয় তবেই ক্রিকেট ম্যাচ দেখা যায়। গোবর দেওয়া দেয়াল পাশ কাটিয়ে পাড়ায় অচেনা কেউ ঢুকলে ফিসফিসিয়ে কথা শুরু হয়ে যায়। অমুকের ঘরে কে এলো গো পরানের মা, হাতে মিষ্টি নিয়ে? ওই যে গো ইত্যাদি মূলক কথাবার্তা। বলা চলে একটা জলজ্যান্ত খবর নিয়ে আলোচনায় আস্ত আদিসপ্ত গ্রাম। কষা দুপুরে গায়ে রোদ লাগিয়ে কয়েত বেল নুন, কাঁচা লঙ্কা, চিনি দিয়ে মাখিয়ে জিভে দিয়ে ৯৮.৩ রেডিও মির্চি ইট'স হট। সাত সকালে খোলা আকাশের নিচে খেজুর পাতার চাটাই মিলে, ভূগোলের পাতা, ইতিহাসের খাতা,

অমৃতসর-এর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা

Image
রেলের মানবিকতা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন? -কল্যাণ অধিকারী অমৃতসর কান্ড নিয়ে অনেকে বলছেন কেন ওঁরা রেলের ট্রাকে উঠবে। মানলাম ওঁরা দোষ করেছে ট্রাকে উঠে। তা বলে প্রবল বেগে কয়েকশ দর্শনার্থীর উপর এসে পিষে দিয়ে রক্ত গায়ে মেখে পালিয়ে যাবে ওই ট্রেন নামক বস্তুটি? থরে থরে পড়ে থাকবে লাশ নামক শব্দ? রেলের নিয়মে তার এলাকায় হাঁটাচলা বে আইনি। ওঁরা আবার দাঁড়িয়ে রাবণ বধ দেখছে তাতো আরও বে আইনি! রেলের ট্রাকের গা ঘেঁষে পোড়ানো হচ্ছিল দশমুখো রাবণ। কেউ কেউ বলেন হিটলার নাকি পরাক্রমশালী ছিলেন। ওই ট্রেনের চালক লক্ষ্য করেননি অত মানুষ ট্রাকে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখছেন? ইনি কোন অংশে কম দায়ি? এতটুকু মানবিকতা দেখানো যেত না। বাঁচানো যেত না অত গুলো প্রাণ! মুহূর্তের মৃত্যুমিছিল আটকানো সম্ভব ছিল না? নৈহাটি, সোদপুর, সাঁতরাগাছি, টিকিয়াপাড়া, সোনারপুর একের পর এক স্টেশনে দাবী আদায়ে যাত্রী বিক্ষোভ হয় ওই ট্রাকে বসে বা দাঁড়িয়ে। সেটা কি আইনি? দীর্ঘ সময় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যারা সময়ে অফিসে পৌঁছাতে লাইন ধরে হেঁটে যায় সেটা কি আইনি? অমৃতসর শুধু নয় এই রাজ্যেও একাধিক স্থানে রেলের ট্রাকের পাশে অনুষ্ঠান হয়। কিছুটা হলেও আবেগ দিয়ে

দেখে এলাম সহিষ্ণুতার মোড়কে

Image
 নির্মল খড়দহ গ্রামের দুর্গাপূজা -কল্যাণ অধিকারী সাবেকিয়ানায় ভড় করে ৯টি দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিল খড়দহ গ্রাম। এমন একটি গ্রাম যেখানে স্কুলের জানালার ফাঁক গলে তাকিয়ে থাকে ক্ষুদেচোখ। আনন্দের আলো দৃপ্ত হয়ে পড়ে গোয়ালঘরে, মনসা তলায়, ঠাকুর দালানে। প্রতি বাড়িতে পড়াশোনার শব্দ আজও শোনা যায় সন্ধ্যা নামার সাথেই। ঝুঁকে পড়া বাঁশ গাছের ভিড় ঠেলে গ্রামের প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ। পোস্টে লাগানো রয়েছে এলইডি আলো। ধূলো উড়নো রাস্তা বদলে প্রায় সর্বত্র ঢালাই রাস্তা। রাজ্য সড়কের ধার ঘেঁষে চলে গিয়েছে চওড়া ঢালাই রাস্তাটি। সামন্তদের পুকুর, নীলুদির সেলাইয়ের দোকান, হরিবাসর, মনসাতলা পার করে পৌছানো গেল এক গ্রাম ৯টি দুর্গাপূজা এলাকা খড়দহ। সাজানো গোছানো নির্মল গ্রামের প্রতি পরতে সহিষ্ণুতা। কালী মন্দিরের অদূরে আজানের সুর, বড় বাবার মন্দিরে একত্রে বসে তাস খেলছে সহিষ্ণুতা। ভেদাভেদ মুছে দিয়েছে ভালোবাসার আতিথেয়তায়। না আসলে হয়তোবা অনেককিছু অজানা থেকে যেত। ©-কল্যাণ অধিকারী

দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে,

Image
মৃত্যু গোনা শুরু করেছে প্রশাসন, অভিশপ্ত অমৃতসর-এর দশেরা -কল্যাণ অধিকারী, একদিকে রাবণ বধে আতসবাজি আওয়াজ। অপরদিকে রেল ট্রাকে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করছে আম জনতা। সেই সময় ছুটে আসছে ট্রেন। অন্য ট্রাকে সরে দাঁড়ায় কয়েকশ উৎসব মুখর মানুষ। ওই ট্রাকেও ছুটে আসে অন্য একটি ডিএমইউ ট্রেন। পিষে দিয়ে ছুটে যায় গন্তব্যে। মুহূর্তের আনন্দ বিষাদে পরিণত। ছড়িয়ে ছিটিয়ে শরীরের দেহাংশ। মৃত্যু মিছিলের কান্না শুনছে বাকিরা। একদিকে বাংলা মেতে বিজয়ায়। দেশ মাতোয়ারা দশেরার রাবণ বধে। তখনি দেশের একপ্রান্তে মৃত্যুর হাহাকার। বুক ফাটা কান্নার আওয়াজে বাতাস ভারী। কারজন্য এভাবে প্রাণ গেলে পঞ্চাশের বেশি উৎসব মুখর মানুষের? রেলের দায়িত্ব বর্তায় না ট্রেন আস্তে চালানো? উদ্যোক্তাদের কান্ডজ্ঞানহীনতা পরিচয় কিনা খতিয়ে দেখা উচিৎ। এ সবের দোষীদের কঠিন সাজা দেওয়া হোক। রেলমন্ত্রী আমেরিকা সফররত। ফিরে আসছেন। তবে সাত সাগর আর তেরো নদী পার করে ফিরতে সময়ও লাগবে। তার আগে দ্রুত উদ্ধারকার্য শেষ করে আহতদের চিকিৎসা শুরু করা। মৃতের সনাক্তকরণ করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া। মৃত্যু সংখ্যা কমাতে কোনভাবে দেহ সরিয়ে ফেলা না হয় ত

আমাদের ছুটি ছুটি

Image
পুজোর ছুটিতে ডিএ ভুলে হিমালয়ের পাদপদ্মে সরকারি বাবু -কল্যাণ অধিকারী চোখের সামনে বৈশাখী মেঘলা করা পাহাড়ের চূড়া। মাথার উপর একঝাঁক পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে চলেছে ওই দিগন্ত মেলা পাহাড়ের দিকে। পুজোর ছুটিতে এমনি চমকপ্রদ দৃশ্য দেখতে ছুটে চলেছে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি বাবু। পুজো শেষ মানেই "আমাদের ছুটি ছুটি, চল নেবো লুটি ঐ আনন্দ ঝরনা।" সরকারি ছুটি এবার তো ১৬ দিন। ডিএ ভুলে "সবুজ পাহাড় ডাকে, আয় রে ছুটে আয় এই শ্যামলা পথের বাঁকে আয়।" বাকি সময় মন খারাপি। একঘেয়েমি ডিউটি মন আনচান করে "এই শহর থেকে আরও অনেক দূরে চলো কোথাও চলে যাই।" ভিড় স্টেশনে অপরিচিতর সাথে ধাক্কা লেগে, ব্যাগে ব্যাগে ঠোক্কর খেয়ে ছন্দগতিতে কাটিয়ে আসতে চলেছে ক'দিনের ছুটির আমেজ। বাকিটা ক্যামেরায় আঁকতে হবে রঙ দিয়ে কোলাজ। চোখের দিগন্তে পাহাড়ি আদিবাসী সংস্কৃতির ছোঁয়া। সমুদ্রের নীল জলকেশী বইয়ে দেবে শীতল নোনতা হাওয়া। মনে শুধুই খেয়ালী সুর। বাজলো ছুটির ঘন্টা। ওলো লো লো মা মা তা লা লা মাতিনি মামাইয়া মিতে কেমন করে মনটা। ©-কল্যাণ অধিকারী চিত্র আমার তোলা নয়। গুগলের কৃপায়।

তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা

Image
|স্ক্যানারে 'সিবিআই' ব্যপারটা বেশ গা ছমছমে| -কল্যাণ অধিকারী ঝকঝকে পোশাকে দুঁদে অফিসার নিশানা কঠিন। প্রতি হাতে সূত্র। তদন্তের ব্যপ্তি বিশাল। শিরা-উপশিরা জুড়ে আকুন্ঠ বিশালতা। খবরের কাগজের পাতায় তদন্তে গতি বাড়াচ্ছে জাতীয় খবর। বয়ান রেকর্ড, বিশেষ আদালত, বহু পাতার চার্জশিট। বাকিটা ? এ রাজ্যের মানুষ সিবিআই বলতে মূলত বৃহৎ একটি স্ক্যানারে তদন্ত বলতেই মনে করে। সারদা কর্তা ও রোজভ্যালি সহ একাধিক বে-আইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে বিশালাকার তদন্ত। প্রভাবশালী নেতা তত্ত্ব। বিতর্কিত সেই ফাগুন বউ শুভ্রা কুন্ডু। গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক নেতা তাপস পালকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বর। মদন মিত্র হাসপাতালে ভর্তি। ১৩৬ দিন পর অবশেষে জামিনে মুক্ত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ চাতুর্যপূর্ণ। এখানেই শেষ নয়। সেই সিঙ্গুর, সেই টাটা মোটরসের জমিতে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা তাপসী মালিকের দেহ। সিবিআই তদন্তে গ্রেফতার হয় সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য সুহৃদ দত্ত সহ দেবু মালিক। তারপর! নেতাই গণহত্যা। সিবিআই নজরে সিপিএম নেতা ডালিম পাণ্ডে ও অনুজ পাণ্ডে। দীর্ঘ তিন বছর গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর গ্রে

এ কেমন প্রতিবেশী

Image
মারছে ওঁদের পড়শি দেশের নরখাদক ই মান, মরছে ওঁরা পরিবারের একজন হয়ে। ধরতে আসা বাহিনী কে, দৃঢ় হয়ে আগলে দিচ্ছে ঘাতক দের দালাল। শয়তান, নেমকহারামী তোরা। এ দেশে লুকিয়ে ঢুকিস আর ফিসফিসিয়ে বলিস, অর জনাব কেয়া চাল রাহা হ্যায় হিন্দুস্থান মে তো ফগ চল রাহা হ্যায়,,,, শুনেই হিংসার মৃত্তিকায় শয়ান যাস। লজ্জা, ঘৃণায় তোদের থুতকার দিতে মন চায়। ©-কল্যাণ অধিকারী

শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা।

Image
চারটি রাতের গপ্পো লিখে মা চললেন শ্বশুর ঘরে -কল্যাণ অধিকারী মা, পিছুটানে আমায় বেঁধে দিও না। গায়ে শ্মশানের ছাইপাঁশ মেখে ও কোথায় রয়েছে জানিনা। এই কটাদিন কি খেয়েছে, রাতে কখন ঘুমিয়েছে বুঝতে পারছি না। আমাকে শ্বশুর ঘরে ফিরতে হবে মা। তাছাড়া কাল একাদশী এয়ো-স্ত্রী দের বাপের ঘরে থাকতে নেই তো বলো। লক্ষ্মী, সরস্বতী বলছে কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে যাবে। তুমি বলো মা ওরা তো বড়ো হয়েছে স্বামী কি আমায় অত টাকা দিয়ে পাঠিয়েছে! পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে, খাল-বিল, নদী-নালা পেরিয়ে এসেছি। খাবার বলতে পাহাড়ের বরফ, নদীর জল, বিলের শালুক। ফিরে যাব ওই একি পথ ধরে। তবে মা, মনটা বড্ড খারাপ গো। মেয়ে দু'টোর জন্য। ওরা বড্ড ভালো যে। বাবার কথা খুব শোনে। বীণা'র তার সরস্বতী নিজে ঠিক করে এনেছে। তবুও বলেনি নতুন এনে দিতে। এ বছর আশ্বিন-কার্তিক দুই মাস মিলিয়ে কাটিয়ে গেলাম চারটি দিন। মানুষের কত আহ্লাদ, আনন্দ, খুশি বিনিময়, সেলফি বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভরা আমার পরিবারের ছবি। পঞ্জিকা মেনে এবারে ঘোড়ায় ছিল আগমন। শ্রীভূমি ওরা তো কার্তিককে ঘোড়ায় চাপিয়েছে। তাতে আর কি? শাস্ত্র মতে করেছে। বিতর্ক আছে সবেতেই। তবুও ফিরবার সময় ছেল

থিমে পাগল

Image
বৈরী আবহাওয়া, সাবেকিয়ানা প্রেম ওসব ভাবনা ভুলে স্বাদ পূরণের ইচ্ছা পূর্ণ করে তোলাই থিমের অষ্টাঙ্গ-যোগ। মনে রাখতে হবে থিম মানে-ই রাজ চক্রবর্তী দক্ষিণী টোকা নয়। মণ্ডপ নির্মাণে নতুনের ভাবনা, আধুনিকতার ছোঁয়া। ©-কল্যাণ অধিকারী চিত্র, রূপায়ন ও পরিবেশনে অনন্যা 

চিত্র যখন কথা বলে

Image
ওগো সুখের ষষ্ঠী নিশি -কল্যাণ অধিকারী আবেগ বেহাগ হয়ে বিছিয়েছে সোহাগ, পঞ্চমী রাত শেষে ষষ্ঠী শুরু রাজকীয়তায়। মিলিয়াছে বাংলা মিলিয়াছে তরে, মন্ত্রের জোরে যবনিকা অপবাদের তিতলি তে। জীবন ডাকেনিকো মেঘবালিকা ত্রিনেত্র দরবেশ, ছানাবড়া বৃথা নওয়াবি তেরাত্রি। চাঁদ তারাদের ভিড়ে মিটিমিটি জোনাকি, আকাশ ভরে দেয় সবুজ আলোয় কুহেলি। শেষ রাত অন্ধকার কেড়েছে রোশনাই, কেউ ফেলে নিঃশ্বাস কেউ করে বিশ্বাস, দেয়াল ঘড়ির শব্দটা বুকে বাজে ঠকঠক। মা এসেছেন শান্তি নিয়ে এই রাঢ় বাংলায়, কানে হেডফোনে সাম্যের গান শোনায়। মায়ের চিত্র দেখে আনন্দে নোখ কামড়াই, বিলায়িত চেতনা ফিরে আসুক প্রাণে, শারদীয় শুভেচ্ছা সকলের তরে। ©-কল্যাণ অধিকারী চিত্র প্রবীর সেনাপতি 

নান্দনিকতায় মেপেছে শহর

Image
-কল্যাণঅধিকারী   ষষ্ঠী আলোক উজ্জ্বল রাতে ঝলমলে শহর। এ নিশ্চয় ভালোবাসার চেয়ে বেশি কিছু, বড় কিছু। চিত্র ও রূপায়নে অনন্যা।

মা দুর্গা

Image
দুর্গা তুই বড্ড অগোছালো হাতে তুলে নে অস্ত্র -কল্যাণ অধিকারী মা তোর হাতে তুলে দেওয়া হবে অস্ত্রের ভান্ডার। যেখানে নেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং এর লড়াই। শুধুমাত্র বনেদি ও থিমের মাঝে গায়ের মৃত্তিকা কাপড়ের সৌরভ ও ফুলের ডালায় ভরা। দরিদ্র - ধনী, ডিজের ঝঙ্কার - বাজনা বাজায় ঢাকী, ধর্মের বুলি হিন্দু ও মুসলমানি। মহিষাসুরের নিধন ঠায় তাকিয়ে দেখবে এই শহর বাকি রাজ্যটা। বলবে ওরা, তোমার দুর্গা শরৎ মাখা, আমার দুর্গা ফুটপাতে শোয়া। কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে ঝুড়ি মাথায় ছুটে চলে বাজার। আমার তাতে বয়ে-ই গেল! নতুন সাজে সেলফি ওঠা, মুখবুকে পোস্ট করে তিন'শ লাইকপ্রাপ্ত। সুউচ্চ প্যান্ডেলের একাধিক ছবি আমাকে মুগ্ধ করেছে, হ্যাঁ, মুগ্ধ করেছে ক্রেডিট প্রাপ্তি চিত্র তোলা ওই অপরিচিত মুখটি। গ্রেগর শ্নাইডার, নিকোলাস ডার্কস, এরিস্টটল এসব নাম শোনা বাঙালি, সেখানে দুর্গা তুই বড্ড অগোছালো, হাতে তুলে নে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করা অস্ত্র। ©-কল্যাণ অধিকারী

শারদীয়া শুভেচ্ছা

Image
দুর্গাপূজা আপনাদের জানাই মিঠে রোদের ভালোবাসা -কল্যাণঅধিকারী   সনাতন ধর্মবলম্বী মানুষ হয়ে শারদীয়া দুর্গা পূজায় সামিল সকলে। সাম্প্রদায়িক চেতনায় গোটা বাংলা আজ এক সুতোয় বাঁধা। এটাই বাংলার কৃষ্টি, এটাই বাংলার সংস্কৃতি, এটাই বাংলার সহিষ্ণুতা। আনন্দময়ী'র আবির্ভাবে পাঁচটা দিন আলোক মঞ্জুরি হয়ে উঠুক এই কামনা করি। বাংলার সহিষ্ণুতা গোটা দেশের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক। চিত্র ও পরিকল্পনায় অনন্যা। 

যেখানে শব্দ আটকে যায় ভাবনায়

Image
এক মায়ের মন ছোঁয়া কথা। শুভ সপ্তমী শুভেছা। -কল্যাণ অধিকারী খোকা, এসেছি তোদের শহরে। পারলাম না বছরভর ডাক ফিরিয়ে দিতে। কতো আলো, সাজের বাহার, প্যান্ডেলে আভিজাত্য মন ছুঁয়ে গেছে। জানিস, পাহাড় বেয়ে নেমে আসবার সময় মাথার কাছে তিতলি কে দেখলাম। গণেশ একাই সরিয়ে দিল। বড্ড ভালো আমার গণেশ টা। ভাবনা হচ্ছিল তোরা কেমন অভ্যর্থনা আমাদের জন্য রেখেছিস। এখানে এসে পেয়েছি মানুষের হাসিমাখা মুক্তো টানা মুখ। নতুন পোশাকে মুখ বাঁকিয়ে ছবি তুলতেও দেখলাম। আচ্ছা খোকা এখন কি এটাই ঢল? কোথাও দেখতে পেলাম না তো ফুটপাতে থাকা জামা ছেঁড়া মানুষ গুলোকে। ওদের কি পূনর্বাসন দেওয়া হয়েছে? সরস্বতী- লক্ষ্মীর বাবা গাঁজা টানতে বেশি ব্যস্ত। বললাম পিকে কে সঙ্গে নিয়ে যাব! শুনেই নিষেধ করে দিল। কি আনন্দ হতো বল অমন হাঁদাভোঁদা ছেলে পাশে থাকলে অনুষ্কা থাকতো। অনুষ্কা মানেই বিরাট আর কোহলি মানে টিএমটি বার। বাকিটা সেতু ভেঙে পরা চিত্র! যদিও ভেঙে পড়বার দৃশ্য দেখায় নি এবার কেউ লাইভ। সবাই গ্রাউন্ড জিরো থেকে দেখাতে ব্যস্ত। আচ্ছা ওই ডিজে কেন এত জোরে বাজে! সরস্বতী কত সুন্দর বীণা বাজায় কেউ শুনতে পায় বল। ঢাকের বোল আমার শরীর-মন-হৃদয় শান্তি দে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে লেখা

Image
|উনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সৃষ্টি কে অসম্মান নয়| -কল্যাণ অধিকারী একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। দেশের উজ্জ্বল মুখ। রাজ্যের সমস্ত কাজ সামলেও লেখালেখি করেন। ক্যানভাসে রঙিন চিত্র তুলে ধরেন। তাঁর আঁকা একটি লাইভ ভিডিও নিয়ে অনেকে বিচিত্র মতামত রাখছেন। হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে লিখছি। বাংলায় এক সময় বামেদের রাজ্যপাট চলেছে। অফিস ফেরত মানুষদের ডালহৌসি তে অপেক্ষা করতে হতো। রাজা যাবেন সেনাপতি দের সঙ্গে নিয়ে। মাছিও রাস্তা ডিঙোতে পারবে না। বাকি সময় নন্দনে রঙিন আলোয় কি সব করতেন (সাহিত্য পাঠ)। সময় পরিবর্তন হয়েছে। ওঁনার দৃষ্টিশক্তি রস শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। তবুও মানুষ টি শেষ সময়টা কষ্ট করে কাটাচ্ছেন। একান্তে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে রয়েছেন। হয়তো দক্ষিণী জানালাটা বন্ধ করে রেখেছেন। লাল শালুক মেলা তোশকে শুয়ে ইতিহাসের পাতা উল্টাচ্ছেন। প্রসঙ্গ টা হচ্ছে ওঁনা কে (মুখ্যমন্ত্রী) সহ্য করাটা সবার সীমাবদ্ধতার মধ্যে নেই। কেন ওঁনার ছবি অত দামে বিক্রি হবে। এসব নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। ব্যপার টি এরকম অনিল আম্বানির রিলায়েন্স-এর সঙ্গে ৩০ হাজার কোটির চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে সংস্থা দাস্যুর সহিত। আর

মৃত্যু যখন কেড়ে নেয় প্রাণ

Image
সমবেদনা জানাবার অভাব হয় না -কল্যাণ অধিকারী মরার পরেও যদি ফিরে আসা যেত ! মানুষ বেঁচে থাকলে তার খবর ক'জন নেয়! কিন্তু মৃত্যু যখন কেড়ে নেয় প্রাণ সমবেদনা জানাতে অভাব হয় না শুভানুধ্যায়ী দের। ‘ভাই’ সম্বোধন করে দেওয়া দুটি চিঠি'র জবাব দেওয়া হয়নি। শেষ চিঠিতে মাননীয় লিখেছিলেন তবুও আসেনি জবাব। ১১১ দিন কঠিন লড়াই চালিয়ে মৃত্যু প্রাণ কেড়ে নিতেই আসলো সমবেদনা ভরা ৫৬ ইঞ্চি সেই ভাইয়ের টুইট। গোটা দেশ একটা মানুষের লড়াইকে হারালো। তিনি জি ডি অগ্রবাল জী। হাওড়া ব্রিজ-এ প্রায় সময় একটি দৃশ্য লক্ষ্য পরে। ভগবানের চরণে দেওয়া ফুল প্ল্যাস্টিকে বেঁধে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলতে। কিন্তু তা ফেলতে গিয়ে প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে অবাধে তা গিয়ে বাড়ছে জল দূষণ। আমরা সবাই আবেগ দিয়ে সবকিছু ভেবে নিই। বিবেক কে যতনে রেখে। শুধু ফুল পাতা ফেললে কিছুটা হলেও দূষণ কমলেও কমতে পারে। গঙ্গাকে দূষণমূক্ত করবার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তবুও টনক নড়ল না। দীর্ঘ ১১১ দিনের টানটান লড়াই শেষ হয়ে গেল দেশের একপ্রান্তে। হয়ত বোঝাতে চেয়েছিলেন, গঙ্গা দূষণ কে চিনিয়ে দেবার একটা কঠিন লড়াই দেবার চেষ্টা করেছিলেন। লাইমলাইট-এ নয়। পুরোটাই রণভ

রাজ্য সরকারের অভাবনীয় নৈপূন্য

Image
গঙ্গাপথে 'রোরো' পরিষেবা চালু করলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কল্যাণ অধিকারী গঙ্গার একপাশে হাওড়া সাঁকরাইল অপরদিকে গার্ডেনরিচ জেটি। এই পথেই শুরু হয়ে গেল বার্জে করে পণ্যবাহী 'রোরো' পরিষেবা। বুধবার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর শহরে একাধিক সেতু দিয়ে ২০ চাকার ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। রয়েছে খিদিরপুর পোর্ট এলাকায় যানজট। এবার সহজেই ভেসেলে চেপে মিনিট পঁয়তাল্লিশে গঙ্গা পার করে গার্ডেনরিচ জেটিতে পৌঁছে যাবে পণ্যবাহী ট্রাক। এমন পরিষেবা কে বাণিজ্যিক 'রোরো' পরিষেবা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের মোহনার হলদিয়া থেকে কয়লা বার্জ-এ করে পৌঁছে যাচ্ছে ফারাক্কা বন্দরে। এবার আরও এক দিগন্ত খুলে গেল। সড়কপথে জ্যাম ও দূষণ কে সরিয়ে গঙ্গাপথে ভেসেলে ট্রাক তুলে পৌঁছে যাবে গার্ডেনরিচ। এ জন্য চারটে বার্জ রাখা হয়েছে। দিনে গড়ে পাঁচটি ট্রিপ করবে। নীল সাদা ভেসেলে চেপে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সবুজ পতাকা উড়িয়ে পরিষেবার উদ্বোধন করেন। পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক উন্নয়নের কথা শোনান। এই পরিষেবা সাফল্য লাভ করবে বলেও

আইন কঠিন ও বিচার দ্রুত করে শৈশব রক্ষা করতে হবে

Image
শিশুর শরীরে যৌন কষাঘাত ছোট্ট মনে জীবনভর প্রভাব -কল্যাণ অধিকারী ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুল আক্ষরিক অর্থে রণক্ষেত্র। বছর পাঁচেকের   এক শিশুকে যৌন হেনস্থার মতো গভীর অভিযোগ। দিদি দের মতো "মিটু" লিখে জানাতে পারেনি শিশুটি। স্কুল থেকে ফিরে গোপনাঙ্গে ব্যথা নিয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিল। 'মা' বুঝেছিল মেয়ের কষ্ট। আঁতকে উঠেছিল যা এতদিন কাগজে পড়েছে, দেখেছে টিভি তে, সেটাই কিনা! গাল গড়িয়ে নেমে আসছে মাতৃত্বের জল। শুনতে হচ্ছে 'মা ওখানটায় বড্ড কষ্ট হচ্ছে পারছি না দাঁড়িয়ে থাকতে'। পুলিশ একটু সহানুভূতি দিয়ে বিবেচনা করতে পারতো। অভিভাবকদের ক্ষোভ ঝরে পড়বে এটাই ছিল স্বাভাবিক। একরত্তি শিশু স্কুলে পড়াশোনায় যার জোর। তার শরীরে জোর করে এঁকে দেওয়া হল যৌন হেনস্থার চিত্র। জেলা-রাজ্য ছাড়িয়ে দেশজুড়ে একের পর এক স্কুল পড়ুয়ার উপর এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন 'স্যর' শব্দে কলঙ্ক টানা অকৃতজ্ঞ অমানুষ গুলো। মানুষের মনে ঘটনাগুলো গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সাজা দেওয়া জরুরী। নইলে ক্ষোভের স্রোত বাঁধ ভেঙে পড়তে বেশি সময় নেবে না। তবে এটাও ঠিক অভিভাবকদের সংযম হওয়াটা উ

'শত কবি হাজার কবিতা' গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে

Image
বাগনান খালনায় কবি সুবোধ সরকার সহ একরাশ নক্ষত্রের সমাগম  কল্যাণ অধিকারী উলুবেড়িয়া মহকুমা সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত 'শত কবি হাজার কবিতা' গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে কবি সুবোধ সরকার। তাঁর হাত ধরেই উন্মোচিত হল শারদীয় গ্রন্থ ২০১৮। 'শত কবি হাজার কবিতা' গ্রন্থ প্রকাশ সোমবার বাগনান খালনায় গ্রাম্য পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সমগ্র অনুষ্ঠানটি। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ার সুর, মিঠে রোদে গ্রাম্য মানুষদের মুখ, কাশফুলের ভিড় মিলিয়ে দিয়েছে শত কবিদের পুজোর সুরভি। জেলার বিভিন্ন এলাকার কবি সাহিত্যিক প্রেমী মানুষজন একত্রে এগিয়ে এসেছেন। মিলিত ভাবে উঠে এসেছে হাজার কবিতা। প্রবীণ লেখকদের পাশাপাশি সম্পা পাঁজা, জামিলা খাতুনের মতো নতুন কবিদের লেখা রয়েছে গ্রন্থে। উদ্যোক্তা দের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে স্মারক।  শিক্ষারত্ন প্রাপক শিক্ষক সুদেব মুখোপাধ্যায় মহালয়া'র পূর্ণ লগ্নে শহরের বাইরে 'শত কবির হাজার লেখা কবিতা' গ্রন্থ প্রকাশ  প্রকাশ করতে গিয়ে আপ্লুত কবি সুবোধ সরকার। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, 'শারদীয় উৎসব সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলা ভাষা'র কবিতা দিয়ে বাঙালির সব থেকে বড়

গাঁয়ের পথে কলম হাতে

Image
শিশিরকণা ঘাসের ডগে -কল্যাণ অধিকারী তখনও শিশিরকণা ঘাসের ডগে জেগে। নদীর ধার বরাবর রাস্তায়, কে যেন দুর্গার পা এঁকে গিয়েছে। একখান ছোট্ট ঢিল ডানে ছুঁড়ি, বায়ে গিয়ে পরে শান্ত নদীর জলে। মাছ ধরার অপেক্ষায় ছোট্ট শুভ্রতায় ভরা  বক,  ভয় পেয়ে উড়ে যায় গাছের ডালে। তব পানে চেয়ে থাকি এই বুঝি, ঝপ করে নেমে আসে নদীর জলে। তখনও শিশিরকণা ঘাসের ডগে জেগে। ধানের শিষে দুধ বসার অপেক্ষায় টিয়ে, মাছরাঙা বলে যায় জোয়ার আসেনি, চেঙো, চান্দা, পাঁকাল থাকুক এখন শুয়ে। বাগদি বুড়ি বুচকি ভরা শাক তুলে, মাথায় নিয়ে হেঁটে চলেছে হাটের পানে। কোনক্রমে ধরে রেখেছে কাশফুল রঙ-বর্ণ, মহালয়া'র দিন পনেরো বাদে, জ্বলন্ত কাঠ হয়ে শোকাবে নদীর পাড় ঘেঁষে। তখনও শিশিরকণা ঘাসের ডগে জেগে। ©-কল্যাণ অধিকারী 

শুভ মহালয়া'র শুভেচ্ছা

Image
তব অচিন্ত্য রূপচরিত মহিমা -কল্যাণ অধিকারী  রেডিও টা খারাপ হয়ে গিয়েছে সেই কবে। ঠিক করানো হয়নি। মন বলছে শরৎ চলে এসেছে দুর্গা মা'কে সঙ্গে নিয়ে। বড্ড মিশ করছি রেডিওটিকে। তবুও রাত শুরুর আগে হেডফোনে 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা'। ওই একটা দিন ভোরে ওঠার ইচ্ছে থাকে। হ্যাঁ, শিউলি ফুলের গাছটি বেঁচে রয়েছে। তুলসী তলায় সাদা হয়ে বিছিয়ে থাকা শিউলি ফুলের মধ্যে দেবীপক্ষের সূচনা জানান দেয়। বাকিটা রিমোট হাতে দূরদর্শন খুঁজে মহালয়া'র পুরনো ভিডিও দেখার ইচ্ছে। আজও মনে হয় বদলেছে অনেক কিছুই। শুধু বদলায়নি গ্রন্থনা শ্লোক ও আবৃত্তির বরেণ্য মানুষটি যিনি বাঙালির হৃদয়ে বসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। যার সুর ভেসে আসে বহুদূরে কোনও বাড়ির রেডিও থেকে।  ওগো আমার আগমনী আলো, জ্বালো প্রদীপ জ্বালো। এই শারদের ঝঞ্ঝাবাতে নিশার শেষে রুদ্রবাতে নিভল আমার পথের বাতি নিভল প্রাণের আলো। শুভ মহালয়া 'র সকলকে শারদীয় উৎসবের শুভেচ্ছা।  ©-কল্যাণ অধিকারী  চিত্র গুগল।

বেপরোয়া ছাতিম গাছ ও

Image
অস্তরাগে নীলকমলিনী    -কল্যাণ অধিকারী সূর্য ডোবার শেষে রাত শুরুর অপেক্ষায়,  মায়া ভরা নীলকমলিনীর দুটি চোখ। তাকিয়ে থাকে রাস্তার মোড়ে, হাতে আংটি, গলায় চেন ঝোলানো, বাবুদের গোছা ভরা পকেটে। শরীরে বিষ লুকিয়ে ছোবল খেতে চায়,  কুঁড়ি ভাঙানো ইতিহাস লেখা কন্যে। সেদিনের অনুভুতিগুলো আজ শান্ত,  শুধু বেপরোয়া ছাতিম গাছটা। কুঁড়ে খেতে চায় অমাবস্যা রাতে, বেদুইন মেশানো মেকআপ ভরা গাল। পদ্মপাতার ভেজা শিশিরকণা, জোনাকি আলোয় লিপস্টিক দেয় ছুঁড়ে। আইসিস নাম না শুনলেও, সেই আগুনে দগ্ধ নাদিয়া মুরাদ হয়ে, ছিনিয়ে নিতে পারেনি নোবেল পুরস্কার। শুধু রাত জাগা জোনাকি হয়ে, বাঁচার আলো দেয় মধ্যবিত্ত ঘরের আদুরে মেয়েদের বেঁচে থাকা স্বপ্নে। ©-কল্যাণ অধিকারী  চিত্র কৃপায় গুগল। 

দৃষ্টিহীন কবীর কিন্তু 'সুখী'

Image
|🍁লজেন্স বিক্রি করে ওঁরা বিবেকবান পুরুষ🍁| -কল্যাণ অধিকারী  চোখের সামনে কিছু বিষয় থাকে যা সকলে এড়িয়ে যাই। এমনি একটি রোজনামচা সবার সামনে রাখলাম। দ্যুতি পুর্কায়েত নামটা আমার আপনার সকলের কাছে অচেনা, আবার অনেক মানুষের কাছে পরিচিত। খুব সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন মেয়েটি। আমাদের সকলের কাছে রোজনামচা দৃশ্যটা মুঠোফোনে তুলে শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়া'য়। ভাবছেন হয়ত এটা আবার নতুন কি! এমন রহ রাতদিন কেউ না কেউ কোন না কোন ভিডিও শেয়ার করে থাকে। না ওস্তাদ না।  সময় থাকলে দু মিনিট পড়ে দেখুন আশাকরি বোঝাতে পারবো। লোকাল ট্রেনে ত্রিস্তর দেখা মেলে হকার বন্ধুদের। মচার চপ থেকে ফটাস জল, নদীয়ার বাদাম পাটালি হোক অথবা মচমচে পাঁপড় ভাজা সবকিছুই হয় যত্ন সহকারে বিক্রি। শিয়ালদা শাখার ট্রেনে কলার মোড়া জামা পরা কয়েকজন মানুষের সঙ্গে ওঁর দেখা। কবির হোসেন।বীরভূম জেলার বাসিন্দা। ওঁদের ছাপোষা চাউনিতে রয়েছে মায়াবী রেখা। তবে, চোখ থাকলেও নেই তাতে দৃষ্টি শক্তি। হাত পেতে ভিক্ষা করবার সহজ অবলম্বন কে দূরে সরিয়ে রেখেছে। খুচরো পয়সার বিনিময়ে লজেন্স বিক্রি করছে। কিনলে ভাগের মা গঙ্গা পেলেও পেতে পারে। তবুও কেন নেবে? ছেলে

লড়াই জমালো এক দীর্ঘশ্বাসে

Image
এ দেশের বুকে আবারও এক আঠারো -কল্যাণ অধিকারী আব মুঝে রাত দিন  তুমহারা হি খায়াল হ্যায়,,  র্স্পধায় ভরা একটা আঠারো  জ্বলে উঠলো স্বশাসনের বিরুদ্ধে। দরকার শুধু হাত তুলে ওই ঈশ্বর নামক শ্রদ্ধার স্পর্শে পাথর ভাঙা রাস্তার খোদাই করে দেওয়া উজ্জ্বল উপস্থিতি। কেয়া কাহু প্যায়ার মে  দিয়ানো জেইসা হাল হ্যায়,,,  ২২ গজে'র লড়াইকে বলে দেওয়া শুনছো আঠারোর জয়ধ্বনি। শচীন, বিরাট, রোহিত কনিষ্ঠ আখ্যান, দুঃসাহসের একটি আস্ত শতরান। গতরে পীরিতি ফুল ফোঁটাল, এক কালের কার্টলি এমব্রোস,  স্যার ভিভ রিচার্ডস দলের বিরুদ্ধে।  তুমহারা হি খায়াল হ্যায়,  হো হো আ হা হা হা লা লা লা লা লা লা ©-কল্যাণ অধিকারী