Posts

Showing posts from November, 2018

হৃদয়ের গান

Image
আমার সন্ধ্যাবেলা -কল্যাণ অধিকারী আমার সন্ধ্যাবেলা আকাশ কালোজামা গায়ে থাকে, পুকুরের জলে কাঁকড়া খেলে জোনাকির আলো দেখে। নির্জনতা আমায় স্বপ্ন দেখায় কালো মেঘের ভিড়ে, দামোদর, রূপনারায়ন তখন শেষ জোয়ারে খেলা সাঙ্গ করে। গেরস্তের ঘরে টিভির মেগা সিরিয়াল শুধুই কান্নাকাটি, শ্বাশুড়ি বৌমা একি পরিবারে পান শিউলির ছবি। আমার সন্ধ্যা ট্রেনের হুইসেল শুনে দৌড় দিয়ে চলি, মালগাড়ির তলা টপকে প্ল্যাটফর্মে উঠি। দূরে নারকেল, কদম, খিরিশ গাছের মেলে থাকা পাতা ঘেঁষে, দপদপানি আলো জ্বালা রোজ বিমান দেখি। ©-কল্যাণ অধিকারী

২৬/১১ ডাইরি

Image
২৬/১১ সবথেকে মর্মান্তিক চিত্র  হোটেল তাজ-এর জানালার ওপার থেকে হৃদয়ের আত্ম চিৎকার "বাঁচাও বাঁচাও" -কল্যাণ অধিকারী দেশজুড়ে আজ এক নভেম্বর বিপ্লব। আরব সাগরের পাড়ে খানিক দীর্ঘ এক সন্ধ্যের রুদ্ধশ্বাস কাহিনী। ঠাঁই-ঠাঁই আওয়াজে গুলির লড়াই আজ ফিকে। রক্তের ছিটে দেওয়া একের পর মৃত্যু অহংকারী মুম্বই মুছে ফেলেছে। বিজ্ঞাপন সরিয়ে টেলিভিশনের নিউজে সেদিনকার লাইভ এখন স্পেশাল স্টোরি। শুধু থেকে গেছে ছত্রপতি শিবাজী রেলওয়ে টার্মিনাল, নরিম্যান হাউজ, পুরনো তাজ হোটেল প্যালেস এর বুকফাটা হাহাকার। দশ বছর পরে আরও এক ২৬/১১। সকাল থেকে হাজির ওবি ভ্যান নিউজের লাইভ। সাংবাদিক দের মধ্যে কেউ স্মৃতিচারণ করছে। কেউ আবার নতুন তথ্য তুলে ধরবার প্রচেষ্টায়। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় আমরা ভরিয়ে দিচ্ছি ক্ষতের স্মৃতি। একটা আজমল কাসেভ বাকিটা আর্থার রোড জেল, কোটি-কোটি খরচ করে চার বছর পোষা। শেষমেশ পুনে ইয়েরওয়াড়া নিয়ে গিয়ে ফাঁসিতে লটকে দেওয়া। আজও কতটা বদলাতে পারলো বধ্য ভূমি পাকিস্তান ? বিশ্ব হয়তো এটুকু বোঝান গেছে সন্ত্রাসের ঘাঁটি পাকিস্তানের মাটি! নভেম্বর জুড়ে আরব সাগরে শীতল হাওয়ার উপস্থিতি। দিনের শেষে কয়

ধর্ষিতা নামক শব্দে

Image
পেটে যিশু -কল্যাণ অধিকারী ধর্ষিতা নামক শব্দে পাগলি টার পেটে আদুরে সন্তান,  উঁচু পেটে মা হবার খুশিতে ব্যাথার ব্যাথাটাও বোধহয় ভুলেছে। ছেঁড়া কাপড়ে ঘুরে চলেছে এপাশ-ওপাশ। কেউ বলেনি বাবা হবার সাহস মুখে নিয়ে, শুধু ভাবে পেটের টা খালাস করবে কবে, আবার অন্ধকারে ডুবে যাবে গোটা আকাশ, পোড়ো বাড়ির সিঁড়ির তলা লাইটটি খুলে, মুখ চেপে ধরে ছিঁড়ে নেওয়া হবে ঝিনুক। হতভাগ্য কপালে গর্ভে আসবে বেনামী এক যিশু। লোকে বলবে পাগলিটা ধক কতো আবারও মা হবার সাহস দেখিয়েছে। জানবে না ওর পেটের যিশুর ধর্ষক বাবা কে? ©-কল্যাণ অধিকারী

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

Image
|সমবয়েসি চিন্তায় একুশে পার, ধরা পড়েছি ওর চাউনি তে  ♥ | -কল্যাণ অধিকারী পাশ কাটিয়ে যাবার অছিলায় কনুইয়ের ছোঁয়া ঠিকিয়ে যাবার চেষ্টা। যে মেয়ে চাঁদের আলো বিছিয়ে পড়া পথ দেখে বড় হয়েছে, দূর্বা ঘাসে শিশিরকণা হাতে ঘসে কাবাডি খেলেছে, কবিতা লিখে শতকাজে ব্যস্ত মাকে শুনিয়ে গালে হাম্পি আদায় করিয়েছে। অতটা সহজ ছিল না গচ্ছিত রাখা যতনের ধন কে স্পর্শ করতে দেওয়া। দিনের বেশিটা সময় সামনের কম্পিউটারে দু চোখ নিবন্ধ। কাজের মধ্যেও ছিল মোবাইলে নজর। ঘরে চিন্তিত মা, কাজে ব্যস্ত বাবা নতুন অফিসে শ্যামাঙ্গিনী মেয়ের সময়ে-অসময়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে। হয়তো আতিশয্যে থাকা কাবুলিওয়ালা খোকি এবার থেকে শহরের অফিসে দশটা পাঁচটা ডিউটি দেবে। ফিরবার আগে লিফটের কাকু কে হাত বাড়িয়ে থামতে বলে প্রবেশ করে। কয়েক সেকেন্ডের কথা মিটিয়ে রাস্তায় পা ফেলা। কলেজ মোড়ের ব্যস্ততা ওকে থমকে দেয়। এ শহর কতো দৌড়ঝাঁপ করে। বাসের চাকায় মানুষের ধুকপুকে হৃদয় আটকে। চা, পান-বিড়ি, ঘুগনির দোকান, জুতো পালিশ করা বিহারের লোকটি সবাই চঞ্চল। মেসে ফিরবার বাসে ওঠে৷ ঝাকুনি দেওয়া বাসে কোলের সন্তান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মাকে তাকিয়ে দেখে। কেউ দেয়নি সিট। এই শহর কারপূর্নের

জল্পনার অবসান

Image
কলকাতা পুরসভার পরবর্তী মেয়র হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম কল্যাণ অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়বার দুদিন পার হবার আগেই মেয়র পদেও পদত্যাগপত্র জমা দিলেন মহা নাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার পরবর্তী মেয়র হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম।  বান্ধবী প্রীতি প্রথমে মন্ত্রিত্ব পরে মেয়র পদ থেকে সরে আসতে হলো শোভন চট্টোপাধ্যায় কে। তিলোত্তমার নাভিশ্বাস পরছিল পরবর্তী মেয়র কে হবেন। জল্পনায় উঠে আসে একের পর এক নাম। তবে সবকিছুর উর্ধে পৌঁছে মেয়র হলেন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন অতীন ঘোষ। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাতে ছিল দমকল ও পরিবেশ দফতরের মতো মন্ত্রিত্ব৷ পাশাপাশি দায়িত্ব ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল সভাপতির। বৈশাখী ঝঞ্ঝায় একসময় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার দায়িত্ব হাতছাড়া হয়। চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার দুপুরেও সবকিছু মোটের উপর ঠিক ছিল। বিকেল গড়াতেই শুরু হয়ে যায় শোভনের পরিবর্তন। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মেয়র পদ থেকেও তবে কি ইস্তফা দেবেন ? সমস্ত জল্পনা অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতি তেই মেয়র পদ থেকে ইস্তফা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সশরীরে না গিয়ে ইস

আজ

Image
শৈবালিনি রাতে - কল্যাণ অধিকারী রাতের তারাগুলো আজ শৈবাল দিঘির জলের উপর বড্ড চিকচিক করছে। ফুটে ওঠা শালুক কে বলছে সুখে থেকো সমৃদ্ধ করো। মিটিমিটি জোনাকীর আলো ছড়িয়ে দেব রোজ তোমার কাছে জল তরঙ্গ হয়ে।

শোভনকে নিয়ে গেরুয়া জল্পনা

Image
আগামীর প্রস্তুতি নিয়েই কি মন্ত্রীপদে ইস্তফা ? -কল্যাণ অধিকারী জেড প্লাস থেকে কমিয়ে জেড এবার তাও থাকলো না। মাসটাও বৈশাখ নয় যে হাটু জল থাকে। তবুও আজ মন্ত্রীহিন শোভন চট্টোপাধ্যায় রাত কাটাবেন। সান্ত্বনা শুধু মেয়রের চেয়ার। সূর্য উঠলে তাও হয়তো হাতছাড়া হয়ে যাবে।  শোভন দার থেকে আমি জীবন বোধ, মূল্য বোধ শিখেছি। স্পষ্ট জবাব বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। হতে পারে এমন এক কঠিন সময়ে পাশে থাকার বার্তা। বরাবর বলে আসেন যেটা আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি জানিয়েছেন শোভন দা তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু। যদিও কানাঘুষো বড্ড কাছের বন্ধু না হলে সাত সাগর তেরো নদী পার করে যাওয়া যায় আমেরিকায়। দলের পক্ষ থেকে তার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। তার উপর থেকে দল হাত তুলে নিয়েছে। শোভন বুঝেছে দলে তার প্রয়োজন শেষ। তাহলে কি করবেন একদা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়? বন্ধুকে পাশে নিয়ে রাজনীতি কে ইতি টানবেন! নাহলে গেরুয়া দলে নাম লেখাতে হবে। তবে শেষের টি কঠিন। নারদে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে শোভন বাবুর। বিজেপি তাকে নেবার আগে দলের কথাটাও ভাববে। কলকাতা পুরসভায় মেয়র পদে মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন হয়েই মেয়র হন

সিঁড়ি বেয়ে বয়ে যাওয়া জোছনায় দুই মেয়ে দ্বিতীয় পর্ব,,,

Image
| ♥ বাইরে দু'জোড়া জুতো, ভিতরে ওদের দেহ-মনের উষ্ণতা'র উপস্থিতি ♥ | -কল্যাণ অধিকারী টিনা ও তৃষ্ণা রাতে দেহ ও মনের সম্পর্কের জেরে মানসিকভাবে বিপৰ্যস্ত হয়ে পরে প্রীয়া। বেলায় রান্না মাসি স্নান সেরে নিতে ডাক দিতে ই বিছানা ছেড়ে উঠতে গিয়ে দেখে ওরা নেই। এগিয়ে রান্না মাসির কাছে পৌঁছাতেই, উঠেছ মেয়ে৷ আচ্ছা তুমি স্নান সেরে এসো আমি খাবার বেরে দেব। বাথরুমে ছিটকিনি তুলে শাওয়ার খুলতেই ধেয়ে আসে ঠান্ডা একতোড়া জল। কইরে প্রীয়া জল গরম হয়ে গেল যে। আয় মা স্নান সেরে নে এবার। বাবা এসে যাবে এখুনি। গরম ভাত বাটা মাছের ঝাল দিয়ে খেয়ে নিবি। রান্না ঘরে একগাদা বাসন পড়ে আছে আমি ঝপ করে মেজে নিই! মায়ের কথা, বাড়ির কথা চোখের সামনে ভাসছে। এদিকে গা ভেসে যাচ্ছে ঠান্ডা জলের বিন্দু মেখে। শ্যামাঙ্গিনী প্রীয়া এসবের তোয়াক্কা না করেই গায়ে গলায় শাওয়ারের মহুয়া দানায় ভিজিয়ে চলেছে। গা মুছে রুমে গিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখতে থাকে। গায়ে জলের ছিটে লেগে থাকা শ্যামাঙ্গিনী প্রীয়া আজ ফুটফুটে যুবতী। চুলগুলো মেলে রয়েছে গায়ে। দু'কানের পাতায় ছোট পাথরের ট্যাঁপ কানের ঠিক করে নেয়। গায়ে পানাফুল রঙের চু

পেশি শক্তি ও দেহাতি

Image
গলা টেপা কান্না -কল্যাণ অধিকারী রোদে পুড়ে তামাটে গায়ে ক্ষেতের হাল টানা মানুষটির মাংস  এবার হয়তোবা ছিঁড়ে খাবে নরপশুর দল! রক্তের ছিটেয় ভেসে যাবে আধপেটে থাকা গৃহবধূর সিথির সিঁদুর! দানা মাঝি স্ত্রীর দেহ নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে, মন্ত্রজালে আজ ভিআইপি। কাঁদে শুধু মেয়েটি। আর ওই যে শবর! পেয়েছে জাতির সম্মান। মদ আর ভুখার লড়াইয়ে দগ্ধ হয়েছে যেদিন। আত্মবিশ্বাসের বারুদ জ্বলবে আস্ত গাঁ, পিঠ ঠেকেছে যে বিবর্তনের দেওয়ালে। ছদ্মবেশীরা রুদ্ধ হয়ে আগলেছে উন্নয়নের পোস্ত দেওয়া সিদ্ধ ভাত। নিঃশব্দে হত্যা করা হবে চোখ ভেজা কান্না, গলা টিপে ধরা হবে ভাত খেকো আস্ত পরগনাকে। ©-কল্যাণ অধিকারী লেখার মানানসই চিত্র গুগল থেকে নেওয়া।

চার পর্বের এক অন্যরকম গল্প। প্রথম পর্ব

Image
|♥ সিঁড়ি বেয়ে বয়ে যাওয়া জোছনায় দুই মেয়ের উতলে ওঠা মিলন ♥| - কল্যাণ অধিকারী শৈল্পিক শহরের ছোঁয়া কতটা রয়েছে আসানসোল জুড়ে জানিনা কিছুই। তবুও ওই শহরের কয়লার ধূলিমাখা চাঁদ ঠোকাঠুকি দিয়েছিল এই শহরে৷ কল্লোলিনী কলকাতা মাথার উপরে উড়ে যায় বিমান, মাটির নিচে মেট্রো। প্রতিটা পরতে নিঃশ্বাস পরে ধূমপায়ী মানুষ দের। ডিজের ঝংকার রঙিন গ্লাসে বরফের কুচির সাথে আলো ভরে দেয়। এই শহরেই ও নাম লেখায়। পড়াশোনা করতে আসলেও লক্ষ্য ছিল কোন কোম্পানির এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করা। হালকা শীতের দুপুরে অচেনা শহরে বেনামী মানুষের ভিড়ে দাঁড়িয়ে পরে শিয়ালদাতে। প্ল্যাটফর্মে লেখা মেসের ঠিকানা দেখে বাঘাযতীনে পৌঁছে যায়। মেসরুমে অন্য দুই মেয়ের সাথে রুম শেয়ার করা শুরু করে প্রীয়া। কটা রাত অপরিচিত থাকলেও বাকিটা সময় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। শহরের মেয়েদের সুন্দর ব্যবহার ওকে ছুঁয়ে যায়। কিন্তু সে রাতে উঁকি দিয়ে দেখেছিল মেয়েদের প্রথম শারীরিক পর্ব। যা নিজের মধ্যে বিতর্ক বইয়ে দিয়েছিল। যাদের জন্য গৌরব হয়ে উঠেছিল সেই মেসের দুই মেয়ে তারাই কিনা! টিনা গ্রেট নৈঋত খুলে ধরেছে। বুনো পশুর মতো অনুর্বরতা হয়ে কামনা মেটাচ্ছে তৃষ্ণা। বাল্বের ডিম আ

একটা অনুব্রত কে সামলাতে পারছেন না রাজ্য কে কিভাবে?

Image
উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, দিদিমনি এখন বিজেপি কে ফলো করছেন! কল্যাণ অধিকারী, হাওড়া রাজ্য বিজেপিতে এখনও দিলীপ রাজ চলছে! শনিবার হাওড়ায় বিজেপির কার্যনির্বাহী সভায় অন্তত এমনটাই লক্ষ্য করা গেল। কখনো কর্মীদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিলেন। কখনও আবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে পাগলা হাতির সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল রায়ের বিজেপি যোগদান ছিল আশাব্যঞ্জক। যোগদানের পর বছর পার হলেও রাজ্যে তাঁর প্রভাব এখনও আশানুরূপ নয় বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের একাংশের। উল্টে দিলীপ ঘোষ যে সর্বময় কর্তা উঠছেন তাও ক্রমশ প্রকাশিত। এ দিন মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলেন মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষ। কাছে থেকেও অনেকটা দূরেই রয়ে গেলেন। আলোচনা হলেও সেই নৈকট্য উধাও। মঞ্চে যে ফেস্টুন লাগানো হয়েছিল তাতেও স্থান হয়নি মুকুল রায়ের। ফেস্টুনের একদিকে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিতা শাহ। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ এর ছবি। কিছুটা হলেও ভ্রু কুঁচকেছে মুকুল অনুগামীরা। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সায়ন্তন বসু, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের একাধিক নেতাকে কর্মীদের লড়াইয়ে অক্সিজেন জোগাতে

বাউড়িয়া থেকে পাঁচলা তিন কিমি এলাকায় ৫০ টি জগদ্ধাত্রীপূজা,

Image
প্রতিমা, মণ্ডপ এবং আলোকসজ্জা দেখতে জনপ্লাবন কল্যাণ অধিকারী, হাওড়া মোড়ের মাথায় প্রাচীন খিরিশগাছ। পাশে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর শাখার রেল লাইনের উপর ব্যস্ত স্টেশন। ট্রেন থেকে যাত্রীরা নেমে ৬নম্বর জাতীয় সড়ক পৌঁছাতে অটো ধরে। তবে এই কটাদিন অটো চলাচল দুপুরের পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। কারণটা তিন কিলোমিটার পথে প্রতিটি প্যান্ডেলের সামনে মানুষের লম্বা লাইন। মুখেমুখে মিনি চন্দননগর বলেই অভিভাষণ করা হয়ে থাকে। হাওড়া শহর থেকে ২৫ কিমি দূরত্ব। স্টেশন ও এলাকার নাম বাউড়িয়া। বারোয়ারি দুর্গাপূজা হলেও মানুষ আনন্দ আটকে রাখে জগদ্ধাত্রী পূজা অবধি। বাউড়িয়া থেকে পাঁচলার মধ্যে তিন কিমি পথ জুড়ে প্রায় কুড়িটার বেশি বারোয়ারি পুজো। রয়েছে বিভিন্ন ক্লাবের পুজো। থিমের ছোঁয়ায় মানুষের মন আটকা পরে। ছোট বড় সকলের কথা ভেবে মন্ডপ সজ্জার চিন্তাভাবনা করা হয়। খিরিশতলা থেকে বুড়িখালি এক কিমি পথে প্রায় ১০টি পুজো হচ্ছে। প্রতিমার উচ্চতা ৮ফুটের মতো। রয়েছে বাহারি আলোর সাজসজ্জা। পুজোর উদ্বোধনের জন্য ভিআইপি দের আনাগোনায় গমগম করতে থাকে। বাউড়িয়া থেকে ৬নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পাঁচলার মোড়ের মধ্যে পঞ্চাশের মতো পুজো হচ্ছে। তবে

হাওড়ায় ৬নম্বর জাতীয় সড়কে গ্যাস ট্যাঙ্কার বিপত্তি

Image
দু ঘন্টা যান চলাচল বিপর্যস্ত, এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক  কল্যাণ অধিকারী, হাওড়া ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৬টা। সবে জাগতে শুরু করেছে ৬নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে রানিহাটি এলাকা। মোড়ের মাথার জমাটি ভিড় নেই। বসেনি জাতীয় সড়কের ধারে বাজার। ঠিক তখনি একটি আতঙ্ক হুলুস্থুলু করে দেয়। জাতীয় সড়কের গায়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরেছে ইন্ডিয়ান অয়েলের এলপিজি গ্যাস ট্যাঙ্কার। লিক হয়ে বেরিয়ে পড়ছে গ্যাস। এর জেরে ঘন্টা দুয়েক বিপত্তি ডেকে আনে গোটা এলাকায়৷ বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল। ট্যাঙ্ক্যার থেকে গ্যাস লিক করবার মুহূর্তে  ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, ধূলাগড়মুখি একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার রানিহাটি মোড় পার করে  ৫০০ মিটার দূরে স্কুল মোড় বাসস্ট্যান্ডের বাম দিকে রেলিং এর পাশে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ট্যাঙ্কারের কিছুটা লিক হয়ে বেরিয়ে পড়ছে গ্যাস। এলাকাবাসী দের মধ্যে গ্যাস ছড়িয়ে পড়বার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। যেহেতু এলাকাটি ঘনবসতি পূর্ণ পুলিশ কোনপ্রকার ঝুঁকি নেয়নি। খবর পেয়ে চলে আসে দমকল। মাইকে করে ঘোষণা করে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়কে যান চলাচল। ছড়িয়ে পরে দুধারে যানজট। ইন্ডিয়ান অয়েলের লোকজ

অনোখা শিশু দিবস

Image
|মুক্তিযুদ্ধের লড়াই চালাচ্ছে আজকের শিশুরা 🍃 | -কল্যাণ অধিকারী শিশু দিবস! মহান দেশে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ বললেও বোধহয় ভুল বলা হবে না। কাঁধে ঝোলা ব্যাগে ভরা পাঠ্যপুস্তক। মাথার উপর হিমালয়ের মতো চাপ। স্কুলে প্রথম হবার এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবার লড়াই। পাকা মস্তিষ্কের মানুষদের কথায় আজকের শিশুরাই নাকি আগামীদিনের সক্ষম নাগরিক। ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত এক ৮-৯ বছরের কৈশোর ঈশান আওয়াস্তির কথা মনে পড়ে। বই পড়তে তো দূর বানান করতেও পারেনা। পিতার শাসন, মায়ের চোখের জল পার করে বোর্ডিং স্কুলে যেতে হয়। কারণ দাদা উহানের মতো ক্লাসের সব বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে হবে। শিক্ষক থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব, বাবা সবাই তার উপর বিরক্ত। একদিন সেই ঈশান হয়ে ওঠে দশের মধ্যে একজন। কিন্তু কিভাবে? সেটাই সবাইকে শিখিয়েছেন দুরন্ত মনের স্যর আমির খান। মোদ্দাকথা শিশুদের মনের কথা পড়তে হয়, খাতায় লিখতে হয় সেটা পরিবার কেই বুঝতে হবে। নরেন বা বিলে, রবিঠাকুর, বিদ্যাসাগর মহাশয় জন্মজন্মান্তর সমাজের আইকন। বাংলা মাধ্যমেই পড়ে আমাদের আদর্শ হয়েছেন। ছোট্ট শরীরে পিঠে কেজি-কেজি ওজনের বইয়ের ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ক

সে রাতে তোমায় দেখে

Image
|ঝিরঝিরে ঠাণ্ডা হাওয়ায় চলচ্চিত্রের উষ্ণতা 🍃 🍁 | -কল্যাণ অধিকারী রাত বাড়তেই শহরজুড়ে হালকা শীতের ইমেজ। পিটিএস পেরিয়ে দ্বিতীয় সেতুর এপার-ওপার গাড়ির হেডলাইট ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে হালকা কুয়াশা। দূরে মাথা উঁচিয়ে নবান্ন। টোল প্লাজার গা ঘেঁষে সোজা ১১৭নং জাতীয় সড়ক কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। ধেয়ে আসছে শীতল বাতাস গাড়ির দক্ষিণী জানালার কাঁচে। হৃদয়ের টাচে ভারী হচ্ছে পাশাপাশি দু শরীর। মিউজিক সিস্টেমে বাজছে, 'হো ঠাণ্ডে ঠাণ্ডে ঝোকে জব বালো কো সহলায়ে,  তপ্তি তপ্তি কিরনে জব গালো কো ছুঁ জায়ে',,,,, উৎসব শেষে মন খুলে একটু স্বস্তি পেতে নাইট ড্রাইভ আনলিমিটেড উষ্ণতা। কিন্তু কে বলেছে উৎসব শেষ? শহরজুড়ে চলচ্চিত্র উৎসব বেশ মাখামাখি। বাম-ডান একাকার। সৌমিত্র স্যর, প্রসেনজিৎ দাদা সবাই এখন ছাতাপড়া। বুদ্ধদেব বাবুর সাধের নন্দনতত্ত্বে আবদ্ধ চলচ্চিত্র উৎসবে অভিনবত্বের ছোঁয়া দিয়েছে মা মাটি মানুষ। বিমানের দামী সিটে বসে উড়ে এসেছেন বিগ বি ও কিং খান এর মতো খ্যাতিমান অভিনেতা। এখানের টেলি-টলি তারকাদের যোগ্য সঙ্গত। কলকাতা এ কদিন পশ্চিমের কোন হলিউড শহরে পরিণত। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের পঞ্চাশেক ছবি নন্দন সহ বিভিন্ন প্

মেঠো পথের মাঝে

Image
বেলা শেষের বিকেলে   পেয়েছি তোমায়   সবুজ মাঠের পাশে।   সূর্য আজ বড্ড কমলা   দুঃখের সাজ সেজে।   ডাক দিয়েছে সন্ধ্যেবেলার   উজান গাঁয়ের খেয়া। খুলনা তোমার মাথার বেণী   কচুরিপানার তোড়া। ©-কল্যাণ অধিকারী

গণতন্ত্র

Image
|সদর দফতর রক্ষার চ্যালেঞ্জ ছত্তীসগঢ়ে| -কল্যাণ অধিকারী জঙ্গলবেষ্টিত রাঢ় অঞ্চলে ওদের সদর দফতর। লড়াই টা সরকার নামক রাষ্ট্রতন্ত্রের বিরুদ্ধে। গণতন্ত্র প্রয়োগে বয়কট মুখস্থ একখান পঙক্তি। লুকিয়ে আশ্রয় নেওয়া 'মাওবাদী' আখ্যান পাওয়া একদল কঠিন মানুষ নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। একসময় সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে না যাওয়া ও অনুন্নয়নের লড়াইয়ে 'মাওবাদী' ভ্রূণের সৃষ্টি। আজ তা পূর্ণাঙ্গ যৌবনে পরিণত। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের দিনে সদর দফতর রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যাদের কাছে ভীতি ও শক্তির পরাকাষ্ঠা হয়ে থাকা। উন্নয়ন না ঘটাবার জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল উঠিয়ে চলা।আদিবাসী ও জঙ্গল তাপে দিনরাত কাটানো মানুষগুলো এবার কোনদিকে? পার্থক্য ঘুচিয়ে ও নিষেধ স্বত্বেও ভোটে সেই মানুষগুলোর উপস্থিতি কতটা। বস্তার, দান্তেওয়ারা সদর দফতরে প্রতিটি মুহূর্তে আপডেট পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারের রক্তপাতহীন গণতন্ত্র প্রদানের চ্যালেঞ্জ কে প্রতিহত করতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রাথমিক উপস্থিতি টের পাইয়েছে। কিন্তু এভাবে কি টিকে থাকা যায়? বস্তার, কাঙ্কের, সুকমা, দন্তেওয়াড়া, কো

চিত্রিত লিপি আঁকাবাঁকা পাহাড়ের সানুতলে

Image
জন্মদিনে কবি জয় গোস্বামী  -কল্যাণ অধিকারী সেদিন ছিল পৌষ মাস। ময়দান মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে একের পর সিগন্যাল পার করে পৌঁছে গিয়েছিলাম নন্দনে। প্রায় নিয়ম করে মাসে বেশ কয়েকবার আসা হলেও সেবার হয়েছিল একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন। ছোটবেলা থেকে শিরা উপশিরা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রবিঠাকুর। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় চৌকাঠে দাঁড়িয়ে পেয়ে গিয়েছিলাম হাতে। 'অতল তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে / হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে।' বাকিটা তাঁর কবিতা চমৎকার চিত্রকল্পে, উপমা এবং উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। তিনি কবি জয় গোস্বামী। নদীয়া জেলার রানাঘাট থেকে বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙালি কবি। প্রথম কবিতা লেখা শুরু শৈশবে। আঠারো বছরে পৌঁছাবার আগেই নিয়মিত কবিতা লিখতে শুরু করে দেন। সময় যত এগিয়েছে ঝুলি ভরেছে কবিতা ও সাহিত্যে। এমন একজন কবি মানুষের সাক্ষাৎ হতে চলেছে। মন জুড়ে তখন শুধুই আবেগ। বাংলা আকাদেমি মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে পড়লাম। সামনে তখন কলম কথা বলা কবি। কোথা থেকে শুরু করবো ভাবার সময়টুকু নেই। দু চারকথা বলার ফাঁকে ডাইরির পাতায় অটোগ্রাফ সমেত সম্পূর্ণ। স্যরের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার ধৃষ্

আমার তিন দিদি কে জানালাম

Image
ভাইয়ের আবেগ মাখা অনিন্দ্যসুন্দর ভালোবাসা 🍁 -কল্যাণ অধিকারী ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারেপড়ল কাঁটা' আত্মার আত্মীয় বা বছরভর পরিচয় থাকলে তবেই কি সম্পর্ক গড়ে ওঠে? অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু সম্পর্কে আবদ্ধ করে দেয়। নিমেষে দিদি তুল্য হয়ে যায়। ইনবক্সে একটিবার স্নেহের পরশে ভাই ডাক শোনবার অপেক্ষায় থাকা। আমার কাছেও বেশকিছু দিদি রয়েছেন৷ কোনদিন সকাশে দেখা না হলেও যাদের সঙ্গে দিদি ও ভাইয়ের হৃদয়ের সম্পর্ক। বড্ড ভালো লাগে তাদের আপন করে নিতে পেরে। পিঙ্কি গোপি দি। বেশ কয়েক বছর ধরে ভাই ডাক শুনে আসছি। কোন বার ফোঁটা দিতে পারছে না। আসলে প্রবাসী বাঙালি দিদি বাংলায় ফিরতে সময় পায় না। তবুও নিয়মিত পোস্ট দেখে সময় করে মন্তব্য করে দেয়। এ বারেও আর্তি করে বলেছিলাম দিদি কোন বছর ফোঁটা দেবে? মিষ্টি জবাব ভাই, এবারে ভাগ্নির পরীক্ষা সামনের বারে ঠিক আসবো ফোঁটা দিতে। এমন হৃদয়ের টান ক'জনের হয়। সোমা রায় পাল দিদি। পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিদি'র কাজের পরিধি অনেক বড়। তবুও সময় করে ভাই বলে ডাক দিলে সাড়া দিতে সময় লাগে না। এ কারণেই বোধহয় ভাই বোনের সম্পর্ক টা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক

আজও বৃষ্টি ঝরলে মনে পরে শুধু তোমায়

Image
নোট বন্দি পোস্ট কার্ড -কল্যাণ অধিকারী রাত গভীর হচ্ছে সফেদ কুয়াশায়, সকাল জুড়ে মিষ্টি শীতের পরশ। ঘুরলো নোট বন্দির দুটি বছর, স্বস্তি কোথায় শুধুই কি ডামাডোল! আজও বৃষ্টি ঝরলে মনে পরে শুধু তোমায়, তুমি বিরোধীদের নোট বন্দি, ইতিহাসের পাতার বিন তুঘলক। আবার তুমি দেশের অর্থনীতির ফুরফুরে বাতাস। তোমার বাতাসে ভেঙেছে কারো ঘর, কেউ ঠাঁই পেয়েছে শশ্মানে কিংবা কেদারায়। তবুও আজ নোটবন্দির আরও এক বর্ষপূর্তি, কালা ধন'দের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত অর্থনীতি। দেশবাসী লড়ছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, কিন্তু বিদায় নিল কি স্বচ্ছ ভারতের কাঙ্খিত স্বপ্ন? আজও পেলাম না তো পনেরো লাখি ব্যান্ড নোট। নিঃশ্বেস হল নাতো দৈত্যপুরী দুর্নীতি। ব্যাপারটা কিছুটা অপ্রত্যাশিত লেগেছিল তখনি, যে দেশে পোড়া রুটির লড়াই, বেহালা চৌরাস্তার জ্যাম কে পিছনে ফেলে। মিনিস্টার্স মূর্তি গঠনের কথা আউড়ে চলে। সেখানে বাতিল হোক পনেরো লাখি দোহাতি ব্রান্ড। এ দেশে জিও র গতি এখন বেলগাড়ি। তবুও পরব দেখতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয় ট্রেনের চাকায়। ট্রাস্ট মি স্যর, আজও ভরসায় রয়েছি আপনার পোস্ট কার্ডের অপেক্ষায়। রাতে শোবার আগে কুয়াশার দিকে আম
Image
'সকলই তোমারই ইচ্ছা' শ্যামা কালী পুজোর এক অন্য কাহিনী  👅 -কল্যাণ অধিকারী মেয়েটির নাম শ্যামা। বিদ্যাধরী নদীর ধারে এক চালা ঘরে বামুন পিতার সঙ্গে বাস করে। সকাল হলেই কাঁধে উড়ুনি ও পইতে, হাতে গঙ্গা জলের ঘট নিয়ে বামুন ঠাকুর চলেন গাঁয়ে পুজো করতে। মেয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে বাবার অপেক্ষায়। ছোট থেকে মেয়ের গায়ের রঙ শ্যামা। সুযোগ পেলেই জিভ বের করে থাকে। গ্রামেগঞ্জে এমন করে মেয়েরা। কিন্তু বড় হয়েছে নিষেধ করলেও কানে নেয় না। লালিত্য মাখা মুখ নিয়ে এক চালা ঘরে জিভ বের করে দাঁড়িয়ে থাকে। লাল রক্তকরবী জবা ওরা বড় পছন্দের। আদুরে শ্যামা তখন আরও উজ্জ্বল রূপ নেয়। কই রে শ্যামা, আজ খিদে বড্ড পেয়েছে তোর বুঝতে পারছি। আজ অমাবস্যা পুজো করতে গিয়ে লেট হয়ে গেল। বাতাসা জল রেকাবে দিচ্ছি খেয়ে নে। পরে অন্যকিছু আনছি তোর জন্য। জানিস শ্যামা, আজ ও পাড়ায় তোর পছন্দের গান টা বাজছে। "আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা। দোষ কারো নয় গো মা।" দেখ দেখ তোর জন্য ভট্টাচার্য দের বাগান থেকে লাল পঞ্চমুখ জবা এনেছি। তুই দাঁড়িয়ে থাক আসছি আমি ফল নিয়ে। অমাবস্যা রাত শুরুর আগে গ্রামে গঞ্জে কালী পুজোর ঢল নেমেছে। বামুন