পাহাড়ি ঝর্ণা বিছিয়ে দেয় রুপলংকার


নাভিপদ্ম ছড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা

-কল্যাণ অধিকারী 

সূর্যের মিঠে রোদ পাহাড়ের সোনালি চূড়ো দেয় রাঙিয়ে। এলোমেলো শীতল হাওয়া, ছড়িয়ে ছিটিয়ে চা পাতার সুরভি। ভেজা শরতের গান শোনায় হিমালয়ের পাদপদ্ম দার্জিলিং। 

বাঙালির গায়ে এখন দিঘা-পুরীর এলার্জি। এক ঘেয়েমি লেগে গেছে ওই দুটো নাম। হোক না ভূপৃষ্ঠ থেকে হাজার সাতেক উঁচু। তবুও পাহাড়ি গন্ধ গায়ে মেখে মেঘ প্রকৃতির দেশে কটা দিন যায় তো কাটানো। মধ্যবিত্তের ঘামা শরীর বরফ ভেজা সিক্ত। নেপালী বংশোদ্ভূত দের আতিথেয়তা দেখে বিলাইছেন ধন্যবাদ। 

ভাবছেন, এমন ছোটখাটো চেহারার  মানুষগুলো শতাধিক দিন কিভাবে থাকলো পথ আগলে! শীতলতা কে সরিয়ে আগুন ধরিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল আস্ত একটা দেশ থেকে। এমন অপরূপা শোভা ছড়ানো প্রকৃতি কে বিচ্ছিন্ন করে রাখার প্রবণতা কেন! সকাল হলে যেখানে নাভিপদ্ম ছড়িয়ে দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। পাহাড়ি ঝর্ণা বিছিয়ে দেয় রুপলংকার।


মোটা ডান্ডির চশমা পকেট বন্দি রেখে চোখে তখন আপনার রোদ চশমা। কোন চায়ের দোকানে কাঠের বেঞ্চে বসে পা দুলিয়ে কুসুম গরম চা ঠোঁটে লাগিয়ে আপনি তখন পিকাসো। নয়নাভিরাম জুড়ে ভরিয়ে তুলেছেন ক্যানভাস। ডেলো পাহাড়, জনপদ, পাহাড়ি কচিকাচা দের সাথে সময় কাটানোর মাঝেই স্মৃতি ধরে রাখা ক্যামেরায়।

হিমালয়ের স্পর্শ নেবেন অথচ উপভোগ করবেন না কাঞ্চনজঙ্ঘার অনুপম সৌন্দর্য অথবা টাইগার হিলের চিত্তাকর্ষক সূর্যোদয় মানা যায় না বস। সমস্ত আনন্দ চেটেপুটে নিয়ে কটা দিন কাটিয়ে ফিরে আসলেন সমতল নিউ জলপাইগুড়ি। শহরে পৌছে দেবার অপেক্ষায় দার্জিলিং মেল।

©-কল্যাণ অধিকারী 


Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য