দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে,





মৃত্যু গোনা শুরু করেছে প্রশাসন, অভিশপ্ত অমৃতসর-এর দশেরা
-কল্যাণ অধিকারী,
একদিকে রাবণ বধে আতসবাজি আওয়াজ। অপরদিকে রেল ট্রাকে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করছে আম জনতা। সেই সময় ছুটে আসছে ট্রেন। অন্য ট্রাকে সরে দাঁড়ায় কয়েকশ উৎসব মুখর মানুষ। ওই ট্রাকেও ছুটে আসে অন্য একটি ডিএমইউ ট্রেন। পিষে দিয়ে ছুটে যায় গন্তব্যে। মুহূর্তের আনন্দ বিষাদে পরিণত। ছড়িয়ে ছিটিয়ে শরীরের দেহাংশ। মৃত্যু মিছিলের কান্না শুনছে বাকিরা।
একদিকে বাংলা মেতে বিজয়ায়। দেশ মাতোয়ারা দশেরার রাবণ বধে। তখনি দেশের একপ্রান্তে মৃত্যুর হাহাকার। বুক ফাটা কান্নার আওয়াজে বাতাস ভারী। কারজন্য এভাবে প্রাণ গেলে পঞ্চাশের বেশি উৎসব মুখর মানুষের? রেলের দায়িত্ব বর্তায় না ট্রেন আস্তে চালানো? উদ্যোক্তাদের কান্ডজ্ঞানহীনতা পরিচয় কিনা খতিয়ে দেখা উচিৎ। এ সবের দোষীদের কঠিন সাজা দেওয়া হোক।
রেলমন্ত্রী আমেরিকা সফররত। ফিরে আসছেন। তবে সাত সাগর আর তেরো নদী পার করে ফিরতে সময়ও লাগবে। তার আগে দ্রুত উদ্ধারকার্য শেষ করে আহতদের চিকিৎসা শুরু করা। মৃতের সনাক্তকরণ করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া। মৃত্যু সংখ্যা কমাতে কোনভাবে দেহ সরিয়ে ফেলা না হয় তার নজরদারি করা হোক। রাবণ বধের আতসবাজির তীব্র আওয়াজ রেলের আওয়াজ কেও ম্লান করে দিয়েছে। মুহূর্তের উৎসব মৃত্যু মুখে পরিণত।
দেশব্যাপী দশেরা একটি কালো সন্ধ্যা এনে দিয়েছে। যা রাতের থেকেও অন্ধকার। মৃত্যু যেখানে শেষ নিঃশ্বাস ফেলে। ইতিহাসের পাতায় কালো লাইন টেনে দেওয়া হয়।
©-কল্যাণ অধিকারী

Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য