মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে লেখা



|উনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সৃষ্টি কে অসম্মান নয়|

-কল্যাণ অধিকারী

একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। দেশের উজ্জ্বল মুখ। রাজ্যের সমস্ত কাজ সামলেও লেখালেখি করেন। ক্যানভাসে রঙিন চিত্র তুলে ধরেন। তাঁর আঁকা একটি লাইভ ভিডিও নিয়ে অনেকে বিচিত্র মতামত রাখছেন।

হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে লিখছি।

বাংলায় এক সময় বামেদের রাজ্যপাট চলেছে। অফিস ফেরত মানুষদের ডালহৌসি তে অপেক্ষা করতে হতো। রাজা যাবেন সেনাপতি দের সঙ্গে নিয়ে। মাছিও রাস্তা ডিঙোতে পারবে না। বাকি সময় নন্দনে রঙিন আলোয় কি সব করতেন (সাহিত্য পাঠ)। সময় পরিবর্তন হয়েছে। ওঁনার দৃষ্টিশক্তি রস শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। তবুও মানুষ টি শেষ সময়টা কষ্ট করে কাটাচ্ছেন। একান্তে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে রয়েছেন। হয়তো দক্ষিণী জানালাটা বন্ধ করে রেখেছেন। লাল শালুক মেলা তোশকে শুয়ে ইতিহাসের পাতা উল্টাচ্ছেন।

প্রসঙ্গ টা হচ্ছে ওঁনা কে (মুখ্যমন্ত্রী) সহ্য করাটা সবার সীমাবদ্ধতার মধ্যে নেই। কেন ওঁনার ছবি অত দামে বিক্রি হবে। এসব নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। ব্যপার টি এরকম অনিল আম্বানির রিলায়েন্স-এর সঙ্গে ৩০ হাজার কোটির চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে সংস্থা দাস্যুর সহিত। আর কোন সংস্থা নেই রিলায়েন্স-এর সহিত কেন? এটাও ঠিক ওজনদার সংস্থা স্যরের কাছের হন ব্যপারটা মাখোমাখো হয়। যেমনটি রাষ্ট্রীয় খেল প্রোত্‍‌সাহন পুরস্কার পাওয়া নীতা আম্বানি। এসব বড়ো মানুষ দের ব্যপার। যাইহোক, একজন চিত্রকর কি আঁকলো সেটা বড়ো কথা নয়। স্যর পিকাসো, সমীর আইচ, শুভাপ্রসন্ন বহু নামকরা চিত্রকর রয়েছেন যাঁদের তুলিতে কথা বলে ক্যানভাস।

আপনাদের ডিবেট করবার অধিকার আছে। তবুও বিষয় টি যখন রাজ্যের প্রধানের সেক্ষেত্রে ব্যপারটা একটু খারাপ লাগে বৈকি। সমস্ত বিষয় কে খেউর করে তোলাটা বিবেকবান মানুষের পরিচয় হতে পারে না। একজন মহিলা কেও দেখলাম বেশকিছু বিষয় নিয়ে চাটুকারিতা দেখাতে। ওঁনার চিত্র কে নিয়েও দুকুঁড়ি কথা লিখেছেন। অনেক বিজ্ঞ মহিলা। মনে পড়ছে বহু বছর আগে রোজভ্যালি পরিচালিত ৩৬৫ দিন পেপারে সাংবাদিকতার জন্য গিয়েছিলাম। আপনি যাদবপুর থেকে পড়াশোনা করেননি ইত্যাদি। কেনও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ। পাঁশকুড়া কলেজে বিএড? যাইহোক ৩৬৫ এখন ইতিহাস। ই সংস্করণ বোধহয় চালু রয়েছে।


বাম জমানার অনেক লেখক কবি রয়েছেন যাদের লেখা পড়তে মন চায়। বক্তৃতা শুনতে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। এর মানে এই নয় বুদ্ধদেব বাবু সংস্কৃতিবান মানুষ নয়। মার্ক্সবাদী নেতা হরিনারায়ন অধিকারী ও দীনেশ মজুমদার মহাশয়, অনিল বিশ্বাস আজও প্রতিফলিত হয় বামপন্থী নেতা হিসাবে। যেটুকু লাল রঙের ছোঁয়া রয়েছে এঁনাদের জন্যে। অসম্মান জনক কথা বলবার অবকাশ নেই। আবার অনিল বসু, আনিসুর রহমান, বিমান বসু রাজনৈতিক শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অশালীন মন্তব্য করে ভরিয়ে দিয়েছেন। ব্যপারটা এরকম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যা করবে তার বিরুদ্ধাচরণ করো। সে দুর্গাপূজা ১০ হাজার টাকা দিলেও চলো হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। আরও কোনও কোর্ট থাকলে সেখানেও চলে যেতে পারতো।

প্রত্যেক মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও ইচ্ছা শক্তি আলাদা। গণতান্ত্রিক প্রয়োগ নিজস্ব। বাক স্বাধীনতা থাকবে রক্ষিত। তবুও তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে নিয়ে কিছু লেখার আগে একটু ভেবে নেওয়াটা উচিৎ। আপনারা বিজ্ঞ মানুষ অতিথি হয়ে একটু কলম ধরলাম। বিবেচনা আপনাদের।

ধন্যবাদ।

©-কল্যাণ অধিকারী

Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য