রাজ্য সরকারের অভাবনীয় নৈপূন্য


গঙ্গাপথে 'রোরো' পরিষেবা চালু করলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী

কল্যাণ অধিকারী

গঙ্গার একপাশে হাওড়া সাঁকরাইল অপরদিকে গার্ডেনরিচ জেটি। এই পথেই শুরু হয়ে গেল বার্জে করে পণ্যবাহী 'রোরো' পরিষেবা। বুধবার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর শহরে একাধিক সেতু দিয়ে ২০ চাকার ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। রয়েছে খিদিরপুর পোর্ট এলাকায় যানজট। এবার সহজেই ভেসেলে চেপে মিনিট পঁয়তাল্লিশে গঙ্গা পার করে গার্ডেনরিচ জেটিতে পৌঁছে যাবে পণ্যবাহী ট্রাক। এমন পরিষেবা কে বাণিজ্যিক 'রোরো' পরিষেবা আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের মোহনার হলদিয়া থেকে কয়লা বার্জ-এ করে পৌঁছে যাচ্ছে ফারাক্কা বন্দরে। এবার আরও এক দিগন্ত খুলে গেল। সড়কপথে জ্যাম ও দূষণ কে সরিয়ে গঙ্গাপথে ভেসেলে ট্রাক তুলে পৌঁছে যাবে গার্ডেনরিচ। এ জন্য চারটে বার্জ রাখা হয়েছে। দিনে গড়ে পাঁচটি ট্রিপ করবে। নীল সাদা ভেসেলে চেপে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সবুজ পতাকা উড়িয়ে পরিষেবার উদ্বোধন করেন। পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক উন্নয়নের কথা শোনান। এই পরিষেবা সাফল্য লাভ করবে বলেও তিনি অশাবাদী।

সূত্রের খবর, সাঁকরাইল পাঁচপাড়া এলাকায় প্রায় দশ একর এলাকার জুড়ে পার্কিং বানানো হয়েছে। লরি ট্রাক ট্রেলার এসে ওখানেই দাঁড়াবে। বার্জে প্রতিবারে ২০টি করে ট্রাক ওঠানো হবে। কোন ঝক্কি ও দীর্ঘ সময় পোর্ট এলাকায় অপেক্ষা না করেই সহজে পৌঁছে যাবে পোর্টে। এ দিনের অনুষ্ঠানে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সাঁকরাইল এলাকার বিধায়ক শীতল সর্দার এবং পোর্ট এলাকার আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য