দেখে এলাম সহিষ্ণুতার মোড়কে


 নির্মল খড়দহ গ্রামের দুর্গাপূজা
-কল্যাণ অধিকারী
সাবেকিয়ানায় ভড় করে ৯টি দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিল খড়দহ গ্রাম। এমন একটি গ্রাম যেখানে স্কুলের জানালার ফাঁক গলে তাকিয়ে থাকে ক্ষুদেচোখ। আনন্দের আলো দৃপ্ত হয়ে পড়ে গোয়ালঘরে, মনসা তলায়, ঠাকুর দালানে।


প্রতি বাড়িতে পড়াশোনার শব্দ আজও শোনা যায় সন্ধ্যা নামার সাথেই। ঝুঁকে পড়া বাঁশ গাছের ভিড় ঠেলে গ্রামের প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ। পোস্টে লাগানো রয়েছে এলইডি আলো। ধূলো উড়নো রাস্তা বদলে প্রায় সর্বত্র ঢালাই রাস্তা।


রাজ্য সড়কের ধার ঘেঁষে চলে গিয়েছে চওড়া ঢালাই রাস্তাটি। সামন্তদের পুকুর, নীলুদির সেলাইয়ের দোকান, হরিবাসর, মনসাতলা পার করে পৌছানো গেল এক গ্রাম ৯টি দুর্গাপূজা এলাকা খড়দহ। সাজানো গোছানো নির্মল গ্রামের প্রতি পরতে সহিষ্ণুতা। কালী মন্দিরের অদূরে আজানের সুর, বড় বাবার মন্দিরে একত্রে বসে তাস খেলছে সহিষ্ণুতা। ভেদাভেদ মুছে দিয়েছে ভালোবাসার আতিথেয়তায়।

না আসলে হয়তোবা অনেককিছু অজানা থেকে যেত।


©-কল্যাণ অধিকারী


Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য