চার পর্বের এক অন্যরকম গল্প। প্রথম পর্ব



|♥সিঁড়ি বেয়ে বয়ে যাওয়া জোছনায় দুই মেয়ের উতলে ওঠা মিলন♥|

-কল্যাণ অধিকারী

শৈল্পিক শহরের ছোঁয়া কতটা রয়েছে আসানসোল জুড়ে জানিনা কিছুই। তবুও ওই শহরের কয়লার ধূলিমাখা চাঁদ ঠোকাঠুকি দিয়েছিল এই শহরে৷

কল্লোলিনী কলকাতা মাথার উপরে উড়ে যায় বিমান, মাটির নিচে মেট্রো। প্রতিটা পরতে নিঃশ্বাস পরে ধূমপায়ী মানুষ দের। ডিজের ঝংকার রঙিন গ্লাসে বরফের কুচির সাথে আলো ভরে দেয়। এই শহরেই ও নাম লেখায়। পড়াশোনা করতে আসলেও লক্ষ্য ছিল কোন কোম্পানির এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করা।

হালকা শীতের দুপুরে অচেনা শহরে বেনামী মানুষের ভিড়ে দাঁড়িয়ে পরে শিয়ালদাতে। প্ল্যাটফর্মে লেখা মেসের ঠিকানা দেখে বাঘাযতীনে পৌঁছে যায়। মেসরুমে অন্য দুই মেয়ের সাথে রুম শেয়ার করা শুরু করে প্রীয়া। কটা রাত অপরিচিত থাকলেও বাকিটা সময় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। শহরের মেয়েদের সুন্দর ব্যবহার ওকে ছুঁয়ে যায়। কিন্তু সে রাতে উঁকি দিয়ে দেখেছিল মেয়েদের প্রথম শারীরিক পর্ব। যা নিজের মধ্যে বিতর্ক বইয়ে দিয়েছিল। যাদের জন্য গৌরব হয়ে উঠেছিল সেই মেসের দুই মেয়ে তারাই কিনা!

টিনা গ্রেট নৈঋত খুলে ধরেছে। বুনো পশুর মতো অনুর্বরতা হয়ে কামনা মেটাচ্ছে তৃষ্ণা। বাল্বের ডিম আলোয় চোখের সামনে নীলাভ হয়ে উঠছে দু চোখ। পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া মেয়ে প্রীয়ার দু'চোখের সামনে তখন পশ্চিমি অভিনয়। সিঁড়ি বেয়ে বয়ে যাচ্ছে জোছনার আলো। শীতের পরশ মাখা হালকা কুয়াশা ভাসিয়ে দিচ্ছে দুই অশরীরী শরীর। গোলাপের পাঁপড়ি মেলা চার ঠোঁট এক হয়ে গিয়েছে। দুই মেয়ের এমন সর্পিলি শরীরি খেলায় প্রীয়ার লোমশ ঘৃণায় লুটিয়ে পড়ছে। শরীরের সাথে রূপকের বিভেদ ঘটাচ্ছে। মাদকের গন্ধে ম ম করছে চৌহদ্দি। ওদের হৃদয় জুড়েছে হাতের বেষ্টনীতে। ক্রমশ বৈদিক সংজ্ঞা যেন চেপে ধরছে উতলে ওঠা বুকে,,,,,

বাকি পরবর্তী পর্বে।

©-কল্যাণ অধিকারী

Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য