হাওড়ায় ৬নম্বর জাতীয় সড়কে গ্যাস ট্যাঙ্কার বিপত্তি


দু ঘন্টা যান চলাচল বিপর্যস্ত, এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক 

কল্যাণ অধিকারী, হাওড়া

ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৬টা। সবে জাগতে শুরু করেছে ৬নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে রানিহাটি এলাকা। মোড়ের মাথার জমাটি ভিড় নেই। বসেনি জাতীয় সড়কের ধারে বাজার। ঠিক তখনি একটি আতঙ্ক হুলুস্থুলু করে দেয়। জাতীয় সড়কের গায়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরেছে ইন্ডিয়ান অয়েলের এলপিজি গ্যাস ট্যাঙ্কার। লিক হয়ে বেরিয়ে পড়ছে গ্যাস। এর জেরে ঘন্টা দুয়েক বিপত্তি ডেকে আনে গোটা এলাকায়৷ বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল।

ট্যাঙ্ক্যার থেকে গ্যাস লিক করবার মুহূর্তে 
ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, ধূলাগড়মুখি একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার রানিহাটি মোড় পার করে  ৫০০ মিটার দূরে স্কুল মোড় বাসস্ট্যান্ডের বাম দিকে রেলিং এর পাশে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ট্যাঙ্কারের কিছুটা লিক হয়ে বেরিয়ে পড়ছে গ্যাস। এলাকাবাসী দের মধ্যে গ্যাস ছড়িয়ে পড়বার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। যেহেতু এলাকাটি ঘনবসতি পূর্ণ পুলিশ কোনপ্রকার ঝুঁকি নেয়নি। খবর পেয়ে চলে আসে দমকল। মাইকে করে ঘোষণা করে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়কে যান চলাচল। ছড়িয়ে পরে দুধারে যানজট। ইন্ডিয়ান অয়েলের লোকজন এসে লিক সেরে দিলে বন্ধ হয় গ্যাস বের হওয়া। ততক্ষণে প্রায় ঘন্টা দুয়েক অতিক্রান্ত। পরে উলুবেড়িয়া মুখি লেন দিয়ে শুরু হয় যান চলাচল। সাড়ে ৯টার পরে শুরু হয় দুমুখো যান চলাচল।

দমকলের ইঞ্জিন রাখা আছে
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ, হাওড়া রানিহাটি স্কুল মোড় এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে সাইড লেনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ধূলাগড় অভিমুখে যাবার সময় রানিহাটি মোড় পার করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইডের রেলিং-এ ট্যাঙ্কার টি ধাক্কা মারে। সামনের মুখটি ঘুরে যায়। তারপর ট্যাঙ্কার চালক পুলিশে ফোন করে খবর দেয়। গ্যাস বের হতে দেখে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এলাকায় কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ দেখতে ছুটে আসে। স্থানীয়দের তৎপরতায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চলে আসে পাঁচলা থানার পুলিশ। দমকলের গাড়ি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটল চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

ট্যাঙ্কারটি কে পরিদর্শন করছে কর্মীরা 
ঘটনাস্থল থেকে পঞ্চাশ মিটার দূরে সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় বাজার বসা। বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে আসে বহু মানুষ। যদিও গ্যাস লিক হবার খবর চাউর হতেই বাজার বসতে দেওয়া হয়নি। শুনশান হয়ে যায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। ঘন্টা তিনেকের ধুন্ধুমার কান্ড মিটতে মিটতে ঘড়ির কাটায় বেলা দশটা গড়িয়ে যায়। বসে যায় বাজার, খোলে দোকানপাট। রানিহাটি মোড়ের মাথায় মিষ্টির দোকানে তখনও আলোচনায় কোনভাবে যদি ট্যাঙ্কারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটতো তাহলে কিভাবে সামাল দেওয়া যেত?

Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য