এভাবেই নতুন দের সুযোগ করে দিতে হয়




|বাইশ গজ পূরণের প্রতিশ্রুতি|

-কল্যাণ অধিকারী
২০০৮-এর অক্টোবর মাস কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন দেশের দাদা। নিজের মধ্যে অনেকটা ছিল তবুও অবসর নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্রিকেটের দেওয়াল দ্রাবিড় বাইশ গজ কে টা টা জানিয়ে দেন৷ ২০১২ সালে নিখুঁত টাইমিংয়ে গণ্ডগোল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তারপর ২০১৩ সাল। ক্রিকেটের ভগবান সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। এবার ১৯-এর দোরগোড়ায় ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গৌতম গম্ভীর।
বাইশ গজ বরাবর চোখ রাঙায়। নীল ক্যাপ পড়ে টিমে ঢোকা বা বাদ পড়া এখানে সাইলেন্ট কিলার। গ্রেগ চ্যাপেল জমানায় সৌরভ, ক্যাপ্টেন ধোনি'র সময় শচীন! তবে মানতেই হয় ভারতীয় ক্রিকেটের খোলস পাল্টায় সেই দাদা'র সময় থেকে। সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। আবার দাদা যেটা পারেন নি সেটাই করেছে ধোনি। দেশকে দুই ফর্মাটে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। তবুও মনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সেদিন। একটায় ৭৫, অপরটিতে চোখ ধাঁধানো ৯৭। হ্যাঁ তিনি গম্ভীর।
সেই তারুণ্য, আগ্রাসী, বিপক্ষের প্রতি চোখে চোখ রেখে কথা বলা গৌতি। ক্রিকেট থেকে সরে যেতে গিয়ে মঙ্গলবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এতদিনের ক্রিকেট সখ্যতা থেকে সরে আসা অনেকটা কষ্ট, বাকিটা একাকীত্ব'র। বিতর্ক বয়ে চলা ভারতীয় ক্রিকেটে এসব নতুন কিছু না। স্টেডিয়ামে বসে বিজ্ঞাপনে বলতে শোনা গেছে আমি যুবি, আমাকে ভুলে যাননি তো? যুবরাজ, গম্ভীর, হরভজন, মহঃ কাইফ এক একজন আইকন। তবুও মান-অভিমান, সুখ-দুঃখের দিন শেষ করে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতেই হয়। এভাবেই হয়তো নতুনদের সুযোগ করে দিতে হয়।
সুরটা ভাসছে, কথা ছিল একদিন চলে যাব দূৱ নীল সীমানায়!!!!
©-কল্যাণ অধিকারী

Comments

Popular posts from this blog

গল্প যখন সত্যি তৃতীয় পর্ব

শরৎচন্দ্রের বাড়ি একদিনে'র গন্তব্য

শান্ত দামোদর, পাখিদের কলকাকলি, বাড়তি পাওনা ভারতচন্দ্রের কাব্যতথ্য